ডাইনি অপবাদ দিয়ে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল ছেলে

Last Updated:

কুসংস্কার? না কী সেই চিরাচরিত সম্পত্তি-বিষ? কারণ যাই হোক , নিজের মাকে ডাইনি অপবাদ দিতে একটুও ভাবেনি ছেলে।

#দক্ষিণ দিনাজপুর: কুসংস্কার? না কী সেই চিরাচরিত সম্পত্তি-বিষ? কারণ যাই হোক , নিজের মাকে ডাইনি অপবাদ দিতে একটুও ভাবেনি ছেলে। শুধু ডাইনি বলাই নয়। মারধর করে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেয় দক্ষিণ দিনাজপুরের রমেন টুডু। অসহায় অবস্থায় ষাট বছরের বৃদ্ধার আশ্রয় এখন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি।  বিষয়টি জেনেও নীরব পঞ্চায়েত।
মা না কী ডাইনি। তার জন্যই বারবার স্ত্রীর অসুখ হয়। ডাইনি অপবাদ দিয়ে মাকে অত্যাচার, মারধর শুরু করে রমেন টু়ডু। বন্ধ করে দেয় মায়ের হাতে ভাত খাওয়া। নিজের বাড়িতেই এক ঘরে হয়ে যান বালুরঘাটের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মী মুর্মু। বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়েন। এখন মেয়ের বাড়িতেই কোনওরকমে দিন গুজরান ষাট উত্তীর্ণ আদিবাসী বৃদ্ধার।
advertisement
পঁচিশ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। ছেলে, মেয়েই ছিল একমাত্র ভরসা। বহু কষ্টের মধ্যে তাঁদের বড়ো করে তোলেন লক্ষ্মী মুর্মু। ঘটা করে তাদের বিয়েও দেন । এরপর কয়েক বিঘে জমি কেনেন নিজের রোজগারে। সেই জমি নিয়েই ছেলের সঙ্গে বিবাদের শুরু। এক বছর আগে পূত্রবধূর শ্বাসকষ্টের অসুখ ধরা পড়ে । অভিযোগ, স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে মায়ের অনুমতি ছাড়াই জমি বন্ধক দিয়ে দেয় রমেন। প্রতিবাদ করলে মায়ের কপালে জোটে ডাইনি অপবাদ।
advertisement
advertisement
বিভিন্ন অজুহাতে মায়ে উপর শুরু হয় অত্যাচার। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে হিলিতে মেয়ের বাড়ি চলে যান লক্ষ্মী মূর্মূ। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বালুরঘাট থানা।
জীবন-যুদ্ধ তাঁর কাছে নতুন নয়। তবু শেষ বয়সে ছেলের জন্য নিজের ঘর ছাড়তে হবে ভাবেননি কখনও। তাও আবার ডাউনি অপবাদে। তবু নিজের সন্তানকে অভিশাপ দিতে পারছেন না আদিবাসী লক্ষ্মী।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ডাইনি অপবাদ দিয়ে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল ছেলে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement