হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
বিপাকে বাগডোগরার অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন স্মাইল গ্রুপের সদস্যরা

বিপাকে বাগডোগরার অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন স্মাইল গ্রুপের সদস্যরা

দু'বেলাই অসহায়দের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা

  • Share this:

#শিলিগুড়ি: ওদের কেউ চাকুরীজীবী, কেউ স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকা। কেউ আবার পড়ুয়া। আজ ওরাই নেমেছে পথে। মারণ করোনার বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় সড়ক চষে বেড়াচ্ছেন। অসহায়, দুঃস্থদের মুখে দু'বেলা তুলে দিচ্ছেন খাবার আর জল। নিজেদের অর্থেই বাজার থেকে কিনছেন খাদ্য সামগ্রী। তারপর কোনও দিন রান্না করা খাবার। আবার কোনও দিন শুকনো খাবারের প্যাকেট। নিজেরাই করছেন রান্না। তারপর প্যাকেটিংও করছেন ওরা। শিলিগুড়ির বাগডোগরায় ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারে রাত কাটানো ভবঘুরেদের পাশে ওরা।

লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে ভবঘুরেরা। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তায় দেখা নেই লোকের। আজ লকডাউনের সময়ে বাগডোগরার স্মাইল গ্রুপ ওয়েলফেয়ারের সদস্যরা। ওরাই আজ হাসি ফোটাচ্ছেন বিপাকে পড়া মানুষদের মুখে। সংগঠনের ৪০ জন সদস্য বছরখানেক আগে পথে নামে। এখন করোনা মহামারীর সময়ে ব্যস্ত ওরা। লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল, কলেজ। আর তাই পুরো সময়টাই কাটছে অসহায়দের পাশে।

চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। কাজ নেই গাড়ির চালকদের। ঘরে দিন কাটছে টোটো, সিটি অটো চালকদেরও। কঠিন সময়ে রোজগার বন্ধ। সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজ সব্যসাচী দে, সুজিত পাল, সুরজিৎ ঘোষ, ধীরাজ প্রধানরা নিজেরাই বাজার সেরে রান্না করছেন। কোনো দিন নিরামিষ, তো আবার কোনোদিন পোলাও বা ডিমের ঝোল, ভাত। রান্নার পর প্যাকেট করে দুপুরে এবং রাতে পৌঁছে দিচ্ছেন ভবঘুরে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের হাতে। রাতেও একইভাবে জাতীয় সড়কের উড়ালপুলের নীচে থাকা সহায় সম্বলহীনদের হাতে। পাশাপাশি গাড়ির চালক সহ অন্য দুঃস্থদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে শুকনো খাবারের প্যাকেট। থাকছে চাল, ডাল, তেল, আলু সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। সংগঠনের সদস্য সব্যসাচী দে জানান, সাধ্য মতো পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য। যাতে অন্তত লকডাউনে ওরা অভুক্ত না থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিষেবা জারি থাকবে। পাশাপাশি পথ কুকুরদেরও নিয়মিত খাবার তুলে দিচ্ছে ওরা।

Partha Pratim Sarkar

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Coronavirus, COVID-19, Food Distribution, Lockdown