দুই প্রজন্মের তুলনাকে সামনে রেখে তৈরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি "বোধোদয়"!

Last Updated:

ইউটিউবে মহালয়ায় পাবে মুক্তি

#শিলিগুড়ি: বোধোদয়! অর্থাৎ বোধের উদয়। একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। মেরেকেটে ৯ থেকে ১২ সেকেণ্ডের ছবি। তৈরী করেছেন শিলিগুড়ির দুই তরুণ পরিচালক দীপ সাহা ও সায়ন। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের ছেলে কিংবা মেয়ে মানেই খারাপ। আচার-আচরণ, ব্যবহার, বড়দের সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্র সব কিছুই যেন খারাপ। এই ধারণা ১০০ শতাংশ ঠিক নয়। এখনও যে ভালো তরুণ, তরুণী রয়েছেন সমাজে তাই তুলে ধরা হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে। ছবির প্রেক্ষাপট বলতে এক বাড়িতে ৭০ বয়সী  এক ব্যক্তি একাই থাকেন। তাঁর যেন এই প্রজন্মের কাউকেই ভালো লাগে না। মিশতেও চান না। বড্ড একা হয়ে আছেন জীবনের শেষ বয়সে এসে।
বাড়ি থেকে বেরোলেই পাড়ার উঠতি ছেলেরা তাঁকে নানাভাবে কটূক্তি করে। তা হজম করেই ফিরতে হয় ঘরে বিষন্ন হৃদয়ে। সামনে মহালয়া। ঘরের কোনে লুকিয়ে থাকা রেডিওটা বের করে সারাই করতে হবে। তো একদিন বের হলেন বয়স্ক ভদ্রলোক। হাতে পুরনো রেডিওটি নিয়ে। ঘর থেকে বের হতেই পাড়ার কতিপয় যুবক ফের তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। রেডিও সারাই হবে না গোছের নানা টিপ্পনি শোনায়। গম্ভীর মুখে ভদ্রলোক সেখান থেকে দোকানে গেলেও মেকানিক রেডিও সারাই হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অথচ রাত পোহালেই মহালয়া। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের সেই কণ্ঠ এবারে আর শুনতে পারবেন না। ভেবেই ঘরে একাকী শুয়ে।
advertisement
advertisement
পরদিন মহালয়ার সকালে সেই পাড়ার যুবকেরাই হাজির তাঁর ঘরে। সঙ্গে সারপ্রাইজ নিয়ে! মূহূর্তে ভুল ভাঙলো বৃদ্ধের। না, সমাজের এখোনো অবক্ষয় হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাই খারাপ নয়। ভালো মনের ছেলেও রয়েছে। এটাই হল বোধোদয়! আগে মহালয়া মানেই ছিল ঘরে ঘরে উৎসবের হাতছানি। শারোদৎসবের সূচনায় মেতে ওঠা। কিন্তু এখনকার প্রজন্মের কাছে মহালয়া মানেই রাত জেগে অন্য উৎসবে মেতে ওঠা। এই যে দু'প্রজন্মের মধ্যে ফারাক। তাই তুলে ধরা হয়েছে।
advertisement
ছবির শ্যুটিং হয়েছে গজলডোবা, গুলমা চা বাগান, ঘোগোমালি বাজার এবং শহরেরই তিলক সাধু মোড়ে। ১০ থেকে ১২ জনের একটা টিম হয়ে কাজ করা। এর আগেও শিলিগুড়িতে স্বল্প দৌর্ঘ্যের ছবি তৈরী হয়েছে। ছবি তৈরীর একটা প্রবণতা বাড়ছে শহরে। তাও আবার নতুন প্রজন্মের হাত ধরে!
Partha Sarkar
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
দুই প্রজন্মের তুলনাকে সামনে রেখে তৈরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি "বোধোদয়"!
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement