গোপনা*ঙ্গে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি, হাঁটতেই পারছিলেন না...! শেষমেশ নিজেই ঠাকুর দেখতে যাবেন যুবতী

Last Updated:

Rare Operation : যুবতী হাসপাতালে এসেছিলেন যৌ*নাঙ্গের ইনফেকশন নিয়ে। করতে পারছিলেন না হাঁটাচলা। পরে চিকিৎসকরা দেখলেন হিপ জয়েন্টের হাড় ভাঙা। সীমিত পরিকাঠামো নিয়ে অপারেশন।

প্রতিকী ছবি।
প্রতিকী ছবি।
রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার : জটিল অস্ত্রপচারে পায়ে হেঁটে দুর্গা দেখার সুযোগ পেলেন নাংডালা চাবাগানের এরিনা বাগোয়ার। ১৮ বছরের এই যুবতী গোপনা*ঙ্গে ইনফেকশন নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। পরে চিকিৎসকরা দেখেন যৌনাঙ্গে সংক্রমণের পাশাপাশি মেয়েটির হিপ জয়েন্টের হাড় ভাঙা। সেই কারণে হাঁটতে পারছিলেন না তিনি। আর তখনই জেলা সদর হাসপাতালে সেই হিপ জয়েন্টে ভাঙন মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত জেলা সদর হাসপাতালে এই ধরনের অপারেশন হয় না। একমাত্র মেডিকেল কলেজগুলিতেই এই অপারেশন সম্ভব বলে দাবি করেছে জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শল্য চিকিতসক শুভেন্দু সিকদারের বিশেষ চেষ্টায় এই অপারেশন জেলা সদর হাসপাতালে করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল। জেলা সদর হাসপাতালে প্রথম এই অপারেশন হল বলে জানিয়েছেন তিনি। রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল আরও বলেন, পুজোর আগে আমাদের চা বাগানের একটি মেয়ে পায়ে হেঁটে দুর্গা মণ্ডপে যেতে পারবেন। এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।
advertisement
আরও পড়ুন : আইনি ঝামেলায় জর্জরিত? দেবীর কৃপায় মিলবে সমাধান! নিশ্চিন্তে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ুন, পথেই কাজ হবে
এদিনই ছুটি পেয়ে নাংডালা চাবাগানের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন এরিনা। হাঁটাচলা করতে পারছেন ঠিকমতো। জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মন্ডল বলেন, আসলে এক্সরে করার পরে চিকিৎসকরা দেখতে পান যে মেয়েটির দুই হিপ জয়েন্টে ভাঙন। চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে হিপ জয়েন্ট ভেঙে গিয়েছে ওঁর । এই অপারেশনের জন্য বিশেষ কিছু সামগ্রী প্রয়োজন। শল্য চিকিৎসক শুভেন্দু সিকদার সেগুলির কথা বললে, আমরা বাইরে থেকে কিনে দেওয়ার জন্য সম্মত হই।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : ৬০০ বছর ধরে যত্নে রাখা এক সম্পত্তি! ‘এই’ বিশেষ জিনিসটি ছাড়া পুজো হয় না এথোড়া মুখার্জি বাড়িতে 
তারপরেই এই জটিল অপারেশন সম্ভব হয়েছে। এক মাস পরে মেয়েটির হাঁটাচলা করার কথা। কিন্তু সাত দশদিনেই হাঁটতে শুরু করেছেন। তার মানে অপারেশন অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা খুবই খুশি। এদিন এরিনা বাগোয়ার বলেন, এবার দুর্গা পুজো দেখতে পাব কিনা, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাকে সুস্থ করে তুলেছেন। তাঁদের হাতে জাদু আছে। আমি খুব খুশি। পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখতে যাব।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
গোপনা*ঙ্গে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি, হাঁটতেই পারছিলেন না...! শেষমেশ নিজেই ঠাকুর দেখতে যাবেন যুবতী
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement