#শিলিগুড়ি: লাফিয়ে লাফিয়ে দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা প্রতিরোধে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করেছিল মাস্ক বা ফেস কভার পরে বাড়ি থেকে বের হতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। নইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তাতে টনক নড়েনি দেশবাসীর।
রবিবার নবান্ন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। টিভির পর্দা খুললেই ভেসে আসছে বিজ্ঞপ্তির ছবি। তারপরও চূড়ান্ত অসচেতনতার ছবি ধরা পড়ল শহর শিলিগুড়িতে। সকাল থেকেই বিনা মাস্কে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক শ্রেণির জনতা। কবে এদের হুঁশ ফিরবে? উঠছে প্রশ্ন। বেলা বাড়তেই কিছুটা কড়াকড়ি ভূমিকায় দেখা গেল পুলিশকে।
হাসমি চক, শিলিগুড়ি জংশন, মহাত্মা গান্ধি মোড় থেকে ইস্টার্ন বাইপাস সর্বত্রই পুলিশি কড়াকড়ি নজরে আসছে। তবুও অসতর্ক এক শ্রেণির মানুষ। যেন শহরে মেলা বসেছে। আর তা দেখতেই বেড়িয়ে পড়া। দু'চাকা, চার চাকা গাড়ি দাপিয়ে বেড়াল শহরে। কেউ ওষুধ কেনার অছিলায়! কেউ বাজারের থলে নিয়ে! কিন্তু মাস্ক বা ফেস কভারের দেখা নেই। একজন আবার বিনা মাস্কে ঘুড়ি কিনতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিলেন। কতটা জরুরি কাজ ঘুড়ি ওড়ানো?
জিজ্ঞাসা করতেই পাল্টা তেড়ে যায় ওই বাসিন্দা। পরে পুলিশের নির্দেশে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পড়তে বাধ্য হয় ওই যুবক। বিনা মাস্কের এমন ছবি আজ দেখা গেল শহর জুড়েই। পরে পুলিশ তৎপর হতেই মাস্কের ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। তবে আর কবে সচেতন হবে এরা? পাশাপাশি এদিন শহরের বেশ কয়েকটা মার্কেটে জামা কাপড়ের দোকান খোলে লকডাউনের নির্দেশিকা এড়িয়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পয়লা বৈশাখের জন্যে নতুন জামা কাপড় কেনার হিড়িক পড়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। গ্রাম থেকে শহর। এই এক ছবিতে মিলেমিশে একাকার। করোনা সতর্কতা জারির পরও উদাসীন এক শ্রেণির মানুষ।