#মালদহ: প্রকাশ্য রাস্তা থেকে এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে অপহরণ। টানা ১১ দিন ঘরে আটকে রেখে হুমকি ও শারীরিক নির্যাতন। অবশেষে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়। সিনেমার চিত্রনাট্যকেহার মানানো এই ঘটনা ঘটেছে মালদহে। অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরানো হয়েছে নির্যাতিতদের। কিন্তু, নেওয়া হয়নি অভিযোগ। সুবিচার পেতে মালদহ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা। পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মালদহ আদালত।
মুম্বইয়ের থানের বাসিন্দা কাকলি দাস। পরিবার মালদহের মোথাবাড়ি থানার আমলিতলা এলাকার আদি বাসিন্দা। বর্তমানে বেশ কয়েক বছর ধরে থাকেন মুম্বইয়ের থানেতে। স্বামী স্বপন দাস থানেতে ঠিকাদারের কাজ করতেন। স্বামী তাঁর নাবালক পুত্র অনীক দাসের নামে মোথাবাড়িতে একটি জমি কেনেন। এরপর গত বছর জুন মাসে স্বামী প্রয়াত হন। পরিবারের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সেইসময় মোথাবাড়ির বাসিন্দা অভিরাম মন্ডলের কাছ থেকে তিনি বেশকিছু টাকা ঋন নেন। ওই গৃহবধূ বলেন, ওই জমি বিক্রি করে টাকা শোধ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, জমিটি যেহেতু অন্যের নামে রয়েছে সেই কারণে জমি বিক্রি করতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তিনি মালদহে আসেন আদালত থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য।
কাকলি দাসের অভিযোগ, গত মে মাসের ১১ তারিখ অভিরাম মণ্ডল দলবল নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দুই মেয়েকে মালদহ শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে অপহরণ করে। এরপর তাঁদের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে। সাড়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করে নির্যাতন চালাতে থাকে। ১১ দিন পর এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনওরকমে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান। এরপর মোথাবাড়ি থানায় গেলে মোথাবাড়ি থানা বলে যেহেতু ঘটনাটি মালদহ শহরে হয়েছে সে কারণে তাঁরা যেন ইংরেজবাজার থানায় যায়।
কিন্তু, ইংরেজবাজার থানাও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি মালদহ জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা আদালত ইংরেজবাজার থানাকে এফআইআর করে গোটা ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিকে এই ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত অভিরাম মণ্ডল ও তার দলবল। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Sebak DebSarma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crime News, Kidnapping, Malda