মালদহ: মালদহের ট্রাক্টর চালকের রহস্য মৃত্যু। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা রেল স্টেশনের কাছে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃত আকবর আলী(৩৮) পেশায় ট্রাক্টর চালক। গত কয়েক মাস ধরে ডালখোলা এলাকায় রেল লাইনের কাজে যুক্ত ঠিকাদারি সংস্থার ট্রাক্টর চালাতেন আকবর। রেল লাইনের ধারে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। উধাও মোবাইল ফোন। মৃত আকবর মালতিপুর বিধানসভার ভাগভাদো গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ ফেরে গ্রামের বাড়িতে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া।
গত সোমবার বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন আকবর আলী। পরদিন থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাঁর মৃত্যুর খবর পান। দেহ উদ্ধার হলেও মোবাইল ফোনের হদিশ মেলেনি। এরথেকে ঘনীভূত হয়েছে 'রহস্য'। আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু, নাকি 'খুন'? তদন্তের দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে ফেরে আকবরের মৃতদেহ। এলাকায় ভিড় করেন কাতারে -কাতারে মানুষ। বছর আটত্রিশের আকবরের পরিবারে স্ত্রী, মা ছাড়াও রয়েছে দুই শিশু সন্তান। তাঁর রোজগারে সংসার চলত। ফলে আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে পরিবারেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। স্ত্রী মাসতারা বিবি জানিয়েছেন, সোমবার কাজের এলাকায় পৌঁছেও বাড়িতে ফোন করেছিল। গত চার মাস ধরে রেলের ঠিকাদারি সংস্থার ট্রাক্টর চালক হিসেবে কাজ করছিলেন আকবার। সোমবার শেষ কথা হয় পরিবারের সঙ্গে। মঙ্গলবার দিনভর মোবাইল ফোন 'সুইচড অফ' মেলে। ফলে বাড়ির লোকজন চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি।
বুধবার মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেহ শনাক্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধারে দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়েছিল। প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবেই দেহ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে পরিচয়পত্র না থাকায় মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি। কিন্তু, মৃত যুবকের মোবাইল ফোন কীভাবে উধাও হল। মোবাইল ফোন সুইচড অফ কেন ? এর থেকেই পরিবারের সন্দেহ 'খুন' হয়ে থাকতে পারেন আকবর। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের দিকেও নজর রয়েছে পুলিশের। পাশাপাশি, মৃত যুবকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda