সেবক দেবশর্মা, মালদহ: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর প্রশ্নপত্র হাতে পেল এক পরীক্ষার্থী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৷ এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার ৷ যদিও এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাইনি। হাট জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের দাবি, সময় মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা দেওয়ার কথা জানায়নি। এতেই সমস্যা তৈরি হয়।
জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থীর নাম সুমি পারভিন ৷ সে চাঁচলের দরিয়াপুর ইমামপুর বরাম্বল হাইস্কুলের ছাত্রী ৷ তাঁর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র হয় কলিগ্রাম হাইস্কুলে ৷ কিন্তু, তীব্র প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দু’দিন আগে সুমিকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরিবারের তরফে জানানো হয়, সুমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ প্রয়োজনে হাসপাতালেই যেন তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ৷ এ বিষয়ে লিখিত আবেদনও করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু অভিযোগ, পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেকথা জেলা শিক্ষা দফতরে জানায়নি ৷ এমনকী, সুমি যে পরীক্ষা দেওয়ার অবস্থায় রয়েছে, সেটাও কাউকে জানানো হয়নি ৷ ফলে হাসপাতাল থেকে তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার কোনও আগাম ব্যবস্থা বা পরিকল্পনা ছিল না।
আরও পড়ুন- দেশকে সব থেকে বেশি সংখ্যক আইপিএস কিংবা আইএএস অফিসার উপহার দিয়েছে এই গ্রাম! জানুন সেই গল্প
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু ঠিক আগে এনিয়ে হইচই শুরু হয়। তড়িঘড়ি শুরু হয় পরীক্ষার বন্দোবস্ত। কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেকটা সময় গড়িয়ে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্র এসে পৌঁছয় হাসপাতালে। এরপর শুরু হয় পরীক্ষা। এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মালদহ জেলাপরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। সভাধিপতির আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সভাধিপতি বলেন, সময় ব্যয় হওয়ার জন্য ওই ছাত্রীকে বাড়তি সময় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে পর্ষদের কাছে। পাশাপাশি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যেন হাসপাতালেই পরীক্ষা দিতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
যদিও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও এনিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালের সুপার মুখ খুলতে চাননি। জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক অফিসার হোসেন সরকার বলেন, রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সকালে আমরা জানতে পারি পরীক্ষা শুরুর পরও প্রশ্নপত্র পায়নি ওই পরীক্ষার্থী। খবর পেয়ে হাসপাতালে প্রশ্নপত্র পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয় ৷ শেষপর্যন্ত ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পেরেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Higher Secondary 2023, Malda