ছোড়দার মৃত্যুতে শেষ সম্বলটুকু চলে গেল, জানালেন রায়গঞ্জ পৌরসভার তৃনমূল কাউন্সিলর

Last Updated:

বাবা মা অন্য বাড়িতে চলে গেলেও '৮০ থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ দুই বছর ছোড়দার বাড়িতে থেকেই মানুষ হয়েছেন তিনি।

#‌রায়গঞ্জ:‌ ছোড়দার মৃত্যুতে তার শেষ সম্বলটুকুও চলে গেল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন রায়গঞ্জ পৌরসভার তৃনমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ভোল পাল।
৭০ দশকে যুব কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন সোমেন মিত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। যুব কংগ্রেস করার সুবাদে সোমেন মিত্রের বাড়িতে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। ১৯৮০ সালে রায়গঞ্জে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে বাড়ির মধ্যেই তার ভাইবোন খুন হয়েছিলেন। বাবা সমেন্দ্র নাথ পাল এবং মা প্রভাবতি পাল প্রান বাঁচাতে সোমেন মিত্রের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কলকাতার কংগ্রেস নেতারা সোমেন মিত্রকে ছোড়দা বললেও জেলা স্তরের নেতারা সোমেন মিত্রকে কেউ ছোড়দা বলতেন না। শুধু তাঁরাই বলতেন।
advertisement
দীর্ঘ ছ’‌মাস তাঁর বাবা মা ছোড়দার বাড়িতেই ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরা কলকাতার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে যান। বাবা মা অন্য বাড়িতে চলে গেলেও '৮০ থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ দুই বছর ছোড়দার বাড়িতে থেকেই মানুষ হয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন তাঁর বাড়িতে থাকলেও কোনদিন তাকে অন্য কোথাও যেতে বলেননি সোমেন। পুলিশ তাঁকে খুজে বেড়াচ্ছে, বিরোধী দলের নেতা হয়েও তখন তাঁকে সব সময় সাহায্য করে গিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর ছোড়াদাই ছিলেন তাঁদের অবিভাবক। তাঁদের সঙ্গে সোমেন মিত্রের সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগ ছিল। ছোড়দার পরামর্শ নিয়েই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
advertisement
advertisement
ভোলাবাবু জানান, কলকাতায় গেলে আগে ছোড়দার সঙ্গে দেখা করতেন। দীর্ঘক্ষন সেখানে থাকার পর তিনি অন্যত্র যেতেন। ছোটভাইয়ের মতো তাঁকে ভালবাসতেন সোমেন। বিরোধী রাজনৈতিক দল করলেও ছোড়দা আগেও যেরকম তার অবিভাবক ছিলেন, এতদিনও তেমনই অবিভাবক ছিলেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর তাদের যেভাবে মাথায় বাজ পড়েছিল আজ ছোড়দার মৃত্যুতেই একই অবস্থা তৈরী হল, বলছেন ভোলা। ছোড়দার মৃত্যুতে তারা অবিভাবক শূন্য হয়ে পড়লেন বলে জানালেন রায়গঞ্জ পৌরসভার তৃনমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ভোলা পাল।
advertisement
Uttam Paul
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ছোড়দার মৃত্যুতে শেষ সম্বলটুকু চলে গেল, জানালেন রায়গঞ্জ পৌরসভার তৃনমূল কাউন্সিলর
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement