করোনার মধ্যেও স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়ায় জোর বিতর্ক স্কুলে

Last Updated:

উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ে

#দিনাজপুর: লক ডাউন চলাকালীন ছাত্রদের মিড ডে মিল দেওয়া অভিযোগে হেমতাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলকমল সরকারকে শোকজ হেমতাবাদ করল ব্লক প্রশাসন। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ে।
কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউন ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার।লকডাউন ঘোষনার আগেই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে না এলেও তাদের বরাদ্দকৃত মিড ডে মিলের চাল এবং আলু অভিভাবকদের হাতে তুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছেন।গতকাল বিকাল তিনটা পর্যন্ত এই খাদ্য বন্টন করার সময়সীমা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ হেমতাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ের সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রদের চাল এবং আলু দেওয়া হয়।অবিভাবককে ডেকে এই খাদ্যসামগ্রী নেবার কথা বলা হলেও অবিভাবকদের ছাত্ররা স্কুলে পৌছে যায়।লকডাউনের মধ্যে ছাত্ররা বিদ্যালয়ে আসায় তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আসার পর প্রশাসনের নির্দেশে খাদ্য সামিগ্রী বন্টন বন্ধ করে দেওয়া হয়।সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বন্টন করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলমনি সরকারকে শোকজ করেন।বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব ঘোষ জানিয়েছেন,গতকাল পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রদের খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হয়েছে।আজ সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রের অবিভাবকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে।আজকের মধ্যেই সমস্ত সামগ্রী বন্টন করা হবে।খাদ্য সামগ্রী নিতে কোন ছাত্রকে বিদ্যালয়ে ডাকা হয় নি।ছাত্ররা স্বেচ্ছায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
advertisement
অবিভাবক হবিবুর রহমান জানিয়েছেন,বিদ্যালয় থেকে খাদ্য সামগ্রী নিলেন।জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিখিল দাস জানিয়েছেন,প্রতিটি বিদ্যালয়কে ২৩ তারিখের মধ্যে মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী অবিভাবকদের হাতে তুলে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।যদি কোন বিদ্যালয় সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেন তার দায় তাকেই নিতে হবে।রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক অর্ঘ রায় জানিয়েছেন,বিষয়টি তাদের নজরে আসার পরই ব্লক প্রশাসনকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে বন্টন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলমনি সরকারকে শোকজ করা হয়েছে।জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা জানিয়েছেন,যেসমস্ত ছাত্রের অবিভাবকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া যায় নি তাদের তালিকা তৈরী করে বিদ্যালয়ের একটি টীম বাড়িতে গিয়ে সেই সামগ্রী তুলে দেবেন।এই পরিস্থিতি কোন ছাত্র বাড়ি থেকে বের যাতে না হয় সেব্যাপারটি সুচিনিশ্চিত করার জন্য বিদ্যালয় পরিদির্শককে(উচ্চমাধ্যমিক) নির্দেশ দিয়েছেন।
advertisement
advertisement
Uttam Paul
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
করোনার মধ্যেও স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়ায় জোর বিতর্ক স্কুলে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement