Abhishek Banerjee: 'তুমি এলে...', অপেক্ষা শেষে অভিষেকের সঙ্গে দেখা, ১২৭ বছরের বৃদ্ধা যা করলেন, অবাক সকলে!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Written by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
Abhishek Banerjee: অভিষেক ওই বৃদ্ধ মহিলাকে অপেক্ষারত অবস্থায় দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁর আশীর্বাদ নিতে যান। ওই বৃদ্ধ মহিলা তাঁর প্রাপ্য ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রসেকে ধন্যবাদ জানান।
মালদহ: মালদহে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করার জন্য শতবর্ষ পেরোনো এক বৃদ্ধা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করলেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ প্রচারকার্যে, নালাগোলা গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ১২৭ বছর বয়সী মহিলা – বিমলা সরকারের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তিনি মালদহে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন অভিষেকের জন্য।
অভিষেক ওই বৃদ্ধ মহিলাকে অপেক্ষারত অবস্থায় দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁর আশীর্বাদ নিতে যান। ওই বৃদ্ধ মহিলা তাঁর প্রাপ্য ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রসেকে ধন্যবাদ জানান। এই টাকা তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের অধীনে প্রতি মাসে পান। তিনি বলেছেন যে, তাঁর ছেলেরা, যাঁরা এখন অবসরপ্রাপ্ত, অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। তার ফলে তাঁর প্রতি মাসে ওষুধ কেনার জন্য কিছু সংখ্যক অর্থ অপরিহার্য। তিনি তৃণমূল সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর মতো মানুষদের খুব সাহায্য করেছে বলে দাবি তাঁর।
advertisement
advertisement
অবিভক্ত ভারতে বেড়ে ওঠার পর বিমলা সরকার ১৯৫৮ সালে তাঁর বাবা-মা এবং ভাইদের সঙ্গে ভারতে আসেন। ওড়িশায় একটি শিবিরে রোগের প্রাদুর্ভাবের পর তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশের অন্য একটি শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরিত হন। অবশেষে, সরকার পরিবার মালদহ জেলার নালাগোলায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে, যেখানে তাঁর পরিবারের কিছু সদস্য আগে থেকেই বসতি স্থাপন করেছিলেন।
advertisement
বিমলা সরকারের নাতি, মনোজিৎ সরকার, গ্রামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জন্য একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালান। তিনি বলেন, তাঁর ঠাকুমা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলেছিলেন, কারণ বিমলা সরকারের বাড়ি গলির মধ্যে। তিনি বলেছেন, “ঠাকুমা নিজের চোখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসে ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন”।
advertisement
১৯০৮ সালে ক্ষুদিরাম বসুর যখন ফাঁসি হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তিনি বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসকে অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে বর্তমান সরকারের অধীনে তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের জীবন নিরাপদ ও সুরক্ষিত হয়েছে। শতবর্ষ পার করা ওই বৃদ্ধা কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) শাসনকালে ঘটে যাওয়া হিংসার কথা বলেছেন, যেখানে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হত এবং তিনি এও বলেছেন তখন মহিলারা তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে বেরোতেও ভয় পেতেন।
advertisement
বিমলা সরকার বাংলার মহিলাদের জীবন নিরাপদ করার জন্য এবং রাজ্যের উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেন এবং প্রার্থনা করে বলেন, তিনি শীঘ্রই যেন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাহলে মৃত্যুর আগে তিনি আরও একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 04, 2023 8:46 AM IST