Dakshineswar Temple: দক্ষিণেশ্বর ছাড়াও উত্তর কলকাতার এই প্রাচীন মন্দিরে পূজারী ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব

Last Updated:

Ramakrishna Paramahansa Dev: প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে থেকে এই কালী মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন আড়িয়াদহ শ্মশান তান্ত্রিক-সাধকদের সাধনক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত হয়েছে।

+
চৈতন্যদেবেরও title=চৈতন্যদেবেরও প্রাককাল থেকে এই মুক্তকেশী মন্দির বিখ্যাত
/>

চৈতন্যদেবেরও প্রাককাল থেকে এই মুক্তকেশী মন্দির বিখ্যাত

শুভজিৎ সরকার, আড়িয়াদহ: রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির ছাড়াও পুরোহিত আসনে বসে কোথায় পুজো করতেন জানেন? গোটা কলকাতার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র মায়ের মন্দির যেমন কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। তেমনই এক কালী পীঠস্থান হল মা মুক্তকেশীর কালী মন্দির।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আড়িয়াদহের গঙ্গার ধারে শ্মশানের কাছে অবস্থিত এই মুক্তকেশী কালী মন্দির।
প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে থেকে এই কালী মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন আড়িয়াদহ শ্মশান তান্ত্রিক-সাধকদের সাধনক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত হয়েছে। শোনা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণের মায়ের শেষকৃত্য এই শ্মশানেই সম্পন্ন হয়েছিল। এই শ্মশানের কাছেই রয়েছে মুক্তকেশী কালী মন্দির। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই মন্দিরে আসতেন। এই মন্দিরে পুরোহিতের আসনে বসে তিনি দেবীর পুজোও করেছেন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, দেবী মুক্তকেশী অত্যন্ত জাগ্রত। মা মুক্তকেশী ভক্তের কামনা, বাসনা পূরণ করেন এমনটাই প্রচলিত রয়েছে লোকোমুখে।
advertisement
এককালে এই মন্দির ছিল তালপাতার। তারপর ১২৪৭ বঙ্গাব্দে তথা ইংরেজি সন ১৮৪০ সালে পাকা মন্দির হিসেবে সংস্কার হয়। মন্দিরটি পশ্চিমমুখী, কিন্তু মন্দিরের অর্থাৎ দেবী কালিকার গর্ভগৃহ দক্ষিণমুখী। কার্তিক অমাবস্যায় এই মন্দিরে জাঁকজমকের সঙ্গে শ্যামা পুজো আয়োজিত হয়। এছাড়াও দুর্গা পুজোর সময় বিশেষ পুজো হয়। মুক্তকেশী মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়া ও অন্নকূট উৎসব পালিত হয়। মন্দিরে বলির চল রয়েছে। একসময় এখানে পাঁঠা বলি হত। এখন বর্তমানে চালকুমড়ো, আখ, কলা ইত্যাদি বলি দেওয়া হয়। আর এভাবেই চলে আসছে নিত্যপুজো।
advertisement
advertisement
বছরের তিন সময়ে এখানে দেবীকে তিন রূপে পুজো করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী অমাবস্যায় আয়োজিত হয় ফলহারিণী কালী পুজো। কার্তিক মাসে হয় দীপান্বিতা কালী পুজো এবং মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্থীতে রটন্তী কালী পুজোও এখানে মহাসমারোহে আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন : ব্যস্ততা ও শরিকি বিবাদে ধ্বস্ত বহু বনেদি পরিবার, কুলদেবতার বিগ্রহ পূজিত হচ্ছেন বংশের কুলপুরোহিতের বাড়িতে
সকাল ৭ থেকে বেলা ১১  পর্যন্ত ও বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রে আটটা পর্যন্ত মায়ের গর্ভগৃহ খোলা থাকে। তবে বিশেষ পুজোর তিথিগুলোতে মন্দির সারাদিনই খোলা। এমন জাগ্রত মা মুক্তকেশীর মন্দিরের অপার মহিমায় ভক্তদের বিশেষ সমাগম ঘটে।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
Dakshineswar Temple: দক্ষিণেশ্বর ছাড়াও উত্তর কলকাতার এই প্রাচীন মন্দিরে পূজারী ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement