উত্তর ২৪ পরগনা: হাবরা গুলি কাণ্ডে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু'জন। একজনের শরীর থেকে গুলি বার করা গেলেও, অপরজনের শরীরে এখনও ঢুকে আছে গুলি। এদিকে কী কারনে গুলি চালানো হয়েছিল তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
এখন প্রশ্ন হল, শুধু কি মোবাইল ছিনতাইয়ের জন্যই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা? নাকি এর পিছনে আরও বড় কোনও কারণ আছে? এদিকে হাবরা থানার পুলিশ ছিনতাই করা ওই মোবাইলটি ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এখন ওই মোবাইল থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের খোঁজে ইতিমধ্যেই নানান জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে হাবরা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, বর্ধমান থেকে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার জিওলডাঙা রাঙাবালি পাড়ায় মামা বাড়িতে ঘুরতে এসে গুলিবিদ্ধ হয় দুই ভাই। ছোটো ভাই শুকদেব দাস রাস্তায় মোবাইল নিয়ে হাঁটছিলেন। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় দুই যুবক একটি বাইকে করে এসে শুকদেবের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং তার মোবাইলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে শুকদেবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়! চোখের সামনে ভাইকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখে ছুটে আসে দাদা মণি দাস। তখন তাকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। দুই ভাইকেই তরিঘড়ি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকবির নামঙ্কিত শিশু উদ্যানে পড়ে মদের ভাঙা বোতল! বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব স্থানীয়রা
এই ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি গুলির খোল, একটি হেলমেট ও একটি জুতো উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে আসেন বারাসত পুলিশ জেলার অ্যাডিশনাল এসপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, হাবরার এসডিপিও রোহেদ শেখ, হাবরা থানার আইসি অরিন্দম মুখার্জি। তবে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আতঙ্কে ভুগছে এলাকার মানুষ।
রুদ্রনারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Habra, North 24 Parganas news, Police