রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: শিশুসাথী প্রকল্পে প্রাণ বাঁচল দু বছরের শিশুর। জটিল অস্ত্রোপচারের পর সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরলেন নব ব্যারাকপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের খড়ের মাঠ ঘোষপুকুরের মণ্ডল দম্পতি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দু বছর দু মাস বয়সের সৌম্যদীপ মণ্ডলের হঠাৎই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এরপরই স্থানীয় চিকিৎসকদের সহায়তায় ধরা পড়ে হাটের জটিল সমস্যা রয়েছে শিশুটির। হৃদযন্ত্রে ছিদ্র থাকায় জটিল অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেননি জেলা হাসপাতাল।
বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন চার লক্ষ টাকা। অভাবের সংসারে কীভাবে জোগাড় হবে এত টাকা, চিন্তা করে মাথায় হাত দিয়েছিল পরিবার। এরপরই শিশুসাথী প্রকল্পে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওই শিশুটির হাটের সার্জারি-সহ শিরা অপারেশন হল দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালে। বর্তমানে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরেছে ছোট্ট সৌম্যদীপ। শিশুসাথী প্রকল্পে সন্তানের প্রাণ রক্ষা পাওয়ায় খুশি পরিবার-সহ প্রতিবেশীরাও।
আরও পড়ুন : সোনা, জমি, ট্রাক্টর, নগদ মিলিয়ে বোনের বিয়েতে ৮ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার পণ দিলেন চার ভাই! নেটিজেনরা হতবাক
শিশুটির মা সোমা মণ্ডল জানান, ছেলেকে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে খুশি। এত টাকা কীভাবে জোগাড় হবে চিন্তা করে ঘুম চলে গিয়েছিল। শিশুসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে হল অপারেশন। স্থানীয় পুর প্রতিনিধি মনোজ সরকার বলেন, " পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে শিশু সাথী প্রকল্পের সূচনা করেন। ওই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ১২ বছর বয়সি যে কোনও শিশুর নিখরচায় হার্ট সার্জারির মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার। শিশুর সাথী প্রকল্পেই আজ বিনামূল্যে সৌম্যদীপের অপারেশন হয়, এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে শিশুটি। আগামী দিনে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষও শিশুদের চিকিৎসায় এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানানো হয় জনপ্রতিনিধি তরফ থেকে। সন্তানের সুস্থতা কামনা করে শিশুসাথী প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান গোটা পরিবার।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।