বনগাঁ:ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৩ এ রানার আপ হয়ে ফিরলেন বনগাঁর মেয়ে দেবস্মিতা রায়। ইতিমধ্যেই তিনি তামাম দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন সুরের জাদুতে। দেবস্মিতার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা নিয়ে, উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। তবে কি কোনও ভাবে বাংলাকে ব্রাত্য করা হচ্ছে! প্রশ্ন তুলছেন বনগাঁবাসীরাও। তবে জেলার মানুষ কিন্তু দেবস্মিতাকেই প্রথম বলে মেনে নিয়েছেন মনে মনে। প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন তাদের কাছে সেরা ঘরের মেয়ে দেবস্মিতাই।কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা, ছোট থেকেই গানের সুরে গোটা পাড়াকে মাতিয়ে রাখতেন বছর বাইশের দেবস্মিতা। বাবা অন্ত প্রাণ, খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে, পড়াশোনা আর গান ছাড়া অন্য কোনও দিকে মন দেননি কখনো। আর এই গানের সুরই তাঁকে পৌঁছে দেয় ইন্ডিয়ান আইডলের স্বপ্নের মঞ্চে। দেবস্মিতার সুরে মুগ্ধ হয়েছেন তামাম বলিউড তারকারাও। একটুর জন্য প্রথম স্থান মিস হলেও, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই বনগাঁর দেবস্মিতার।বলিউডে প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগও ইতিমধ্যেই এসেছে তাঁর কাছে। বাবা দেবপ্রসাদ রায় একজন পেশাদার গায়ক। বাবার কাছেই গানে হাতেখড়ি দেবস্মিতার। খেতাব জয় করে ফিরতেই, মেয়ের পছন্দের বিরিয়ানি কিনে আনলেন বাবা। মা মিতা রায়কে দেখা গেল একমাত্র সন্তান দেবস্মিতাকে মুখ মিষ্টি করাতে। ক্লাসিক্যাল এবং পুরনো দিনের গানই প্রিয় মেয়ের। আর সেই গানেই বারবার বিচারক থেকে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দেবস্মিতা।
রাজ্যের পাশপাশি বনগাঁবাসীরাও খুশি এলাকার মেয়ের সাফল্যে। উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরাও। অপরদিকে, প্রথমে অরুণিতা, এ বার দেবস্মিতার ফাইনালে উঠেও সেরার শিরোপা না পাওয়ার ঘটনাটিকে কোনও ভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না বনগাঁবাসীরা। অনেকেই এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে এলাকায় ফিরে খোশ মেজাজেই ধরা দিলেন ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত দেবস্মিতা রায়। মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা-মাও।রুদ্র নারায়ণ রায়