East Bengal Captain: দরমার চালের বাড়িতে উপচে পড়ছে ট্রফি, ২০ নম্বর লাল-হলুদ জার্সির মিষ্টি মেয়েতে মজে ময়দান

Last Updated:

East Bengal Captain: দত্তপুকুরের মেয়ে আজ ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন, গর্বিত সকলে 

+
দরমার

দরমার চালের বাড়ি উপচে পড়ছে ট্রফি, লাল-হলুদ জার্সির মিষ্টি মেয়ে মাতাচ্ছে

উত্তর ২৪ পরগনা: এই মেয়ের পায়ের জাদুতে এখন মুগ্ধ সকলে। পাশাপাশি, তৃষাকে নিয়ে এখন গর্ব অনুভব করছে গোটা পরিবার সহ দত্তপুকুরবাসী, এমনকি গোটা জেলার ফুটবল সমর্থকরাও। ইস্টবেঙ্গলের লাল-হলুদ ২০ নম্বর জার্সি পরে যখন মাঠে নামেন তৃষা তখন যে তুফান উঠছে তাতে একেবারে আলোড়নের ঢেউ আসছে কলকাতা ময়দানেও৷
দত্তপুকুর স্টেশন থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে, স্কুল পাড়ার বাসিন্দা তৃষা মল্লিক এখন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন। অধিনায়ক হিসেবে এই মরশুমে ময়দান কাঁপাচ্ছেন তিনি। ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক সাফল্য কন্যাশ্রী কাপেও ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল জিতেছে সব মিলিয়ে এখন এই মহিলা ফুটবলারকে নিয়েই উচ্ছ্বাসে মেতেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। মেয়ের এই সাফল্যে রীতিমতো চোখে জল মা সোমা মল্লিকের।
advertisement
ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বাবা বিশ্বজিৎ মল্লিকও আজ মেয়ের সাফল্যে গর্বিত। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে সেভাবে মেয়ের পাশে দাঁড়াতে না পারলেও, মানসিকভাবে মেয়েকে সমর্থন করেন তিনিও। তৃষার এই সাফল্যে আজ গোটা স্কুল পাড়া মানুষজন নিয়ম করে দেখছেন মহিলাদের ফুটবল খেলা।
advertisement
advertisement
পাড়ার মেয়ের নেতৃত্বে লাল হলুদ শিবিরে আসছে একের পর এক জয়, আর তাতেই তৃষাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও ভাবছেন দত্তপুকুরের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। মা সোমা মল্লিক জানালেন, মেয়ে কখনও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলবে, তা যেন স্বপ্নেও ভাবেননি। প্রথম যখন তৃষার ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ আছে, সেদিন সারারাত না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন মা। দিনটি যেন ভুলতে পারছেন না তিনি। টালির চালের ছোট্ট ঘরেই বড় হয়ে ওঠা তৃষার। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই আজ ইস্টবেঙ্গলের মত রাজ্যের প্রথম সারির মহিলা ফুটবল দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তৃষা পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মাঠে মাঠে পাল্লা দিয়ে খেলাধুলা করতো। সেই থেকেই শুরু ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। দত্তপুকুর গার্লস স্কুল টিম থেকে জেলা স্তর ও পরবর্তীতে রাজ্য স্তরে খেলার সুযোগ আসে তৃষার কাছে।
advertisement
কলকাতার ফুটবল দলে খেলার সময়ই এই মহিলা ফুটবলারের প্রতি নজর পরে লাল হলুদ শিবিরের। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার সুযোগ মেলে। পাশাপাশি, তৃষা বর্তমানে বেসরকারি একটি কলেজ থেকে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছে। আর তার সঙ্গেই সমানতালে চলছে খেলাধুলো। আর এখন তৃষার ওপর ভরসা করেই বদলাবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমনটাই আশা মল্লিক পরিবারের। তবে তৃষাকে নিয়েই এখন মেতে রয়েছে দত্তপুকুর স্কুল পাড়ার মানুষজন।
advertisement
Rudra Narayan Roy
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
East Bengal Captain: দরমার চালের বাড়িতে উপচে পড়ছে ট্রফি, ২০ নম্বর লাল-হলুদ জার্সির মিষ্টি মেয়েতে মজে ময়দান
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement