বিসর্জনের জেরে দূষণের চোখরাঙানি! এই নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করলেই ৫০ হাজার জরিমানা বা ৬ বছর জেল
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
দিল্লিতে যমুনা নদী কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি নিরঞ্জন করা যাবে না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি বা ডিপিসিসি।
নয়াদিল্লি: ঘরে ঘরে এসে গিয়েছে গণপতি বাপ্পা। মহাসাড়ম্বরে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গণপতি উৎসব । আর গণেশ পুজোর হাত ধরেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরসুম। সামনেই আবার দুর্গাপুজোও রয়েছে। কিন্তু গণেশের বিগ্রহ এবং দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে। কারণ দিল্লিতে যমুনা নদী (Yamuna River) কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি নিরঞ্জন করা যাবে না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি বা ডিপিসিসি। আর এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হলে জরিমানা তো গুনতে হবেই, সেই সঙ্গে পেতে হবে কারাদণ্ডও।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে ডিপিসিসি-র নির্দেশ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চলতি বছর গণেশোৎসব এবং দুর্গা পুজোর পরে যমুনা নদী কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি বিসর্জন করা যাবে না। ডিপিসিসি ওই নির্দেশে আরও জানিয়েছে যে, এই নির্দেশ না-মানা হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, এমনকী ছয় বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।
advertisement
advertisement
এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তা-হলে বিসর্জন হবে কোথায়? আর কী-ভাবেই বা তা হবে? সেই বিষয়ে অবশ্য উপায় জানিয়ে দিয়েছে ডিপিসিসি। তারা পুজো হয়েছে, এমন এলাকার আশপাশেই কৃত্রিম পুকুর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছে পৌর সংস্থাগুলিকে। এমনকী দিল্লি পুলিশকেও শহরে প্লাস্টার অফ প্যারিস (পিওপি) মূর্তি বহনকারী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি বেআইনি প্রতিমা তৈরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্ত আঞ্চলিক কার্যালয়গুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে পৌর সংস্থাগুলিকে।
advertisement
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? ডিপিসিসি-র বক্তব্য, পুজোর পরে প্রতিমা বা মূর্তি নিরঞ্জন একটা বড় সমস্যা তৈরি করে। কারণ বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি জলে মিশে যায়। চলতি বছরে গণেশ চতুর্থী উদযাপন শুরু হয়েছে ৩১ অগাস্ট থেকে। আর গণপতি বিসর্জন হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। যদিও জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালেই যমুনায় প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ করেছিল। আর ২০১৯ সালে এই প্রসঙ্গে নির্দেশ জারি করেছিল দিল্লি সরকারও।
advertisement
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, প্রতি বছর গণেশ চতুর্থী এবং দুর্গাপুজোর আগে জেলাশাসকদের কাছে বিসর্জন না-করার নির্দেশিকা পাঠায় ডিপিসিসি। এমনকী, এই সময় যমুনা নদীর ঘাটে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ-ছাড়াও অন্যান্য পথ দিয়ে যমুনা নদীর ঘাটে আসা লোকজনকে আটকাতে টহলও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টা হল যে, পুলিশ ও প্রশাসনের এত কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেয়। আর তার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, নেওয়া হয় জরিমানাও।
advertisement
আর গণেশ চতুর্থীর পরে দুর্গাপুজোর সময়েও মানুষ যমুনা নদীতে দেব-দেবীর মূর্তি বিসর্জন করে। আর প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক নদীর জলে মিশে গেলে জল দূষিত হয়। যার জেরে নানা রকম রোগেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
August 31, 2022 5:04 PM IST