গাজিয়াবাদ আদালতের চেম্বার নম্বর সি ৫১-র রহস্যটা ঠিক কী? এই কাহিনি মন ভরিয়ে দিচ্ছে দেশবাসীর!

Last Updated:

এই চেম্বারে বসেন আইনজীবী মহম্মদ তাহির হুসেন। যিনি দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে মামলা লড়েন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকেন।

বিভিন্ন কারণে দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা ন্যায়বিচারের আশা ছেড়ে দেন। আসলে দীর্ঘ সময় ধরে চলা আইনি লড়াই, সেই সঙ্গে মামলা চালাতে আইনজীবীদের ব্যয়বহুল ফি – ফলে বিচারব্যবস্থার উপরে একপ্রকার আস্থাই হারিয়ে ফেলেন অনেকে। বেশির ভাগ মানুষের কাছেই আইন-আদালতের ছবিটা ঠিক এই রকমই। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে গাজিয়াবাদের আদালতের চেম্বার নম্বর সি-৫১ একটা অনন্য নজির তৈরি করেছে। যা দেশবাসীর প্রশংসা কুড়োচ্ছে। কিন্তু চেম্বার নম্বর সি-৫১-এর রহস্যটা ঠিক কী, সেই গল্পটাই আজ শুনে নেওয়া যাক।
আসলে এই চেম্বারে বসেন আইনজীবী মহম্মদ তাহির হুসেন। যিনি দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে মামলা লড়েন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকেন। ১৯৯০ সাল থেকে ওকালতির কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথমে বিহারের রোহতসে প্র্যাকটিস শুরু করেন। এর পরে দিল্লি হাই কোর্ট, তিস হাজারি কোর্টেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০০০ সাল থেকে শুধুমাত্র গাজিয়াবাদেই কাজ করে আসছেন ওই অভিজ্ঞ আইনজীবী। এর পর ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিয়েছিলেন তাহির। এক জন আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্ট জেনারেলের সম্পাদকও বটে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট কীভাবে বদলাবেন, কতদিন সময়? জানুন নিয়ম
এমনকী ২০০৭ সালে নিজের বই কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ল টাইমস (সিএএলটি)-এর রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট, এলাহাবাদ হাইকোর্ট, লখনউ বেঞ্চ, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল হাইকোর্ট, চণ্ডীগড় হাইকোর্টের মতো আদালতগুলির বিখ্যাত মামলার সারসংক্ষেপ এই বইটিতে লিখেছেন তিনি। এর থেকে অন্যান্য আইনজীবী এবং বিচারকরাও প্রচুর সাহায্য পেয়ে থাকেন।
advertisement
advertisement
আবার মামলা লড়তে গিয়ে কিংবা মামলা চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসে সাধারণ মানুষ। এই ভয়টা মানুষের মন থেকে দূর করার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন আইনজীবী তাহির। তাঁর কথায়, “দরিদ্র কিংবা মধ্যবিত্তরা আদালতকে সাধারণত খুবই ভয় পায়। অনেকে আবার মামলা লড়তে নামলেও সময় এবং মোটা ফি-এর ভয়ে মাঝপথেই সেই লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যান।
advertisement
যাতে অর্থের জন্য কাউকে আইনি লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাতে না হয়, তার জন্য আমি বিনামূল্যে মামলা লড়ি। এমনকী নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তাও প্রদান করি। চেম্বারের বাইরে ঝোলানো বোর্ড পড়ে অনেকেই ভিতরে ঢুকে বিষয়টা জিজ্ঞাসা করেন। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষকেই সাহায্য করেছি। আর ভবিষ্যতেও আমার এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
গাজিয়াবাদ আদালতের চেম্বার নম্বর সি ৫১-র রহস্যটা ঠিক কী? এই কাহিনি মন ভরিয়ে দিচ্ছে দেশবাসীর!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement