#নয়াদিল্লি: বলা হচ্ছে স্বচ্ছ ভারত ২.০। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন ১,৪১,৬৭৮ কোটি টাকা। যা খরচ করা হবে পাঁচ বছরের মেয়াদে। এই সূত্রে বিশেষ করে উঠে আসে জলজীবন প্রকল্পের কথাও। সে দিক থেকেও এবারের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছেন, জলজীবন প্রকল্পের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে মোট ২.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা।
এর প্রয়োজনও ছিল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে সবার আগে উঠে আসে কোভিড ১৯ পরিস্থিতির কথাই। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে, পৃথিবীর বৃহত্তম কোভিড টিকাকরণের কাজটাও অনেক অংশে সামাল দিতে পেরেছে এই দেশ এবং সরকার। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা এখনও দূর হয়নি। করোনার নতুন স্ট্রেইন সমস্যা আরও বাড়াতে পারে, সে কথা বার বার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সে দিক থেকে দেখলে এখনও করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে গেলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধির উপরেই জোর দিতে হবে। অর্থাৎ নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে জল লাগবেই।
কিন্তু ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেনস ফান্ড এর আগে যৌথ ভাবে যে সমীক্ষা পেশ করেছিল, তা দেখিয়েছিল যে দেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ প্রতি দিনের ব্যবহারযোগ্য জলের যোগান থেকে বঞ্চিত। সেই দিকটা সামাল দেওয়ার ব্যাপার তো আছেই, পাশাপাশি আছে কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে জলে যোগান দেওয়ার মতো বিষয়টিও। এই প্রসঙ্গে দেশের নদীগুলির সংস্কারসাধনের বিষয়টিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০২০ থেকে ২০২১ সাল, অর্থাৎ পাঁচ বছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭,৪১৩ কোটি টাকা। যা পরিসংখ্যান মোতাবেকে ছিল আগের বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের ১.১ শতাংশ। সে দিক থেকে দেখলে চলতি বাজেট ঘোষণায় নিঃসন্দেহেই আশার আলো জাগিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা।
পরিসংখ্যান আরও বলছে যে আগের বাজেটের এই অর্থ বরাদ্দের ৭১ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছিল পানীয় জল এবং প্রতি দিনের ব্যবহারযোগ্য জলের সমস্যার বিষয়টি দূর করার কাজে। হিসেব স্পষ্টই বলে দিচ্ছে যে এবারের বাজেটে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বিলিয়ন থেকে পৌঁছে গিয়েছে ট্রিলিয়নে। সুতরাং, দেশের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যপরিকল্পনাতেও আশার আলো পড়েছে। এর আগে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে এবারের বাজেট হতে চলেছে অভূতপূর্ব এবং জনমোহিনী; অন্তত এই দিক থেকে তিনি কথা রেখেছেন!