Tripura Election: বৃহস্পতিবার ভোট, তার আগে ত্রিপুরা জুড়ে ইস্যু জমা জলের যন্ত্রণা

Last Updated:

অসমে বন্যা, হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রচারে ত্রিপুরায়, তৃণমূলের কটাক্ষ বিজেপিকে।

#আগরতলা: ভোট প্রচারের শেষ সপ্তাহে জমজমাট ত্রিপুরা। প্রবল বর্ষণের জেরে জলমগ্ন একাধিক স্থান। আর জমা জলের ইস্যুকেই টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল নেতারা একের পর এক তোপ দেগেছেন ত্রিপুরার বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে৷ তাঁদের অভিযোগ ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী বর্তমান বিজেপি সরকার৷
এদিন কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী। অসম ভাসছে। তিনি এখানে এসেছেন ভোট প্রচারে। এই অবস্থা থেকে বেরোতে চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন। পুরভোটে ২৫% ভোট পেয়েছি, আগরতলার মানুষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। নতুন ত্রিপুরায়, সর্বভারতীয় জায়গায় বিজেপি বিরোধী জায়গায় নেই সিপিএম-কংগ্রেস। বাংলার মানুষ টানা তিনবার জিতিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। কর্মসূচি, জনসভা আমরা শেষ দুই দিনের প্রচারেও করে যাব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রচারে থাকছেন শেষ লগ্নে। ভোটের আগে আগরতলা ভাসছে, এটা নাকি বিজেপির স্মার্ট সিটি?  বাম জমানায় কলকাতায় ৫দিন জল জমে থাকত। এখন ৫ ঘণ্টায় জল নেমে যায়। আগামিদিনে ৫ মিনিটে নেমে যাবে। আমরা ত্রিপুরার মানুষের পাশে আমাদের কর্মীদের দাঁড়াতে বলেছি। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকব আমরা। কলকাতা পুরসভার দুজন এসেছেন। মেয়র এসেছেন আজ। কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে যান। শহর, পঞ্চায়েত চলে যায় মানুষের দুয়ারে। উন্নয়ন আমাদের নিজের অধিকার । ভোট আসবে। ভোট যাবে। গোটা দেশের মডেল। তাহলে কেন ত্রিপুরায় নয়। কেন এই অবস্থা? ওই তো লকেট চট্টোপাধ্যায় এসেছেন আজ। তিনি গিয়ে বসে থাকতেন উত্তরাখণ্ডে। লকেট বারবার স্টার ক্যাম্পেনার। তাহলে  বাংলায় প্রচার করেনি কেন? হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন মিসড কল দিয়ে শিক্ষকের চাকরি দিয়ে দেবেন। ১০৩২৩ জনের চাকরি কোথায়? জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। ভুয়ো প্রতিশ্রুতি। এভাবেই ত্রিপুরার বর্তমান বিজেপি সরকারের তুলাধনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ আবার মানস ভূঁইয়া জানিয়েছেন, "একটি বিশেষ মুহূর্তে হাজির হয়েছি। যখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে। বন্যা হয়েছে। অতীতের সিপিএম-কংগ্রেস আর এখন বিজেপি। ৪১ বছরের বিধানসভায় অভিজ্ঞতা। কংগ্রেস হতাশ করেছে। ভারতবর্ষের মানচিত্রে দেশপ্রেম, ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। মমতা-অভিষেকের হাত ধরে কাজ করছি। কিছুদিন কাজ করার মধ্যে দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের আশীর্বাদ তৃণমূল পেয়েছে। কংগ্রেস ক্ষয়ে যেতে যেতে মাটিতে মিশে গেছে। একমাত্র বিকল্প তৃণমূল। অত্যাচারের কারাগারকে ছিন্নভিন্ন করে, পরাধীনতার শিকল ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলার মতো প্রকল্প এই রাজ্যের মাটিতে কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না? কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে নেতিবাচক। সিপিএম মানে অত্যাচারী শাসক। ওদের ভোট দেওয়া মানে তা নষ্ট করা। আর বিজেপি মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। উন্নয়নের ধ্বজা তুলে এগিয়ে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেকের সেনাপতিত্বে এগিয়ে চলতে হবে। কংগ্রেস ১.৭% ভোট পেয়েছিল শেষ পুরসভায়।"
advertisement
advertisement
একইভাবে অভিনেত্রী কৌশানি জানিয়েছেন, "এই প্রথম ত্রিপুরায় এলাম। অনুন্নয়নের ছবি। অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। এটা স্মার্ট সিটি হতে পারে না। বাংলায় এই ছবি দেখা যায় না। অভিনেত্রী ইমেজ নিয়ে নয়, মাটিতে নেমে কাজ করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ভয়, হুমকি দিয়ে আটকানো যাবে না। তৃণমূলের আরেক নাম লড়াই। তাই লড়াই করে বাঁচতে হবে। প্রার্থীরা সুরক্ষিত নয়। এখানে মহিলা সুরক্ষিত নয়। তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করুন। বাংলার প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে।"
advertisement
সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, "আমাদের প্রার্থীদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে আক্রান্ত। ভোটের প্রচার নয়। ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। ২৩ তারিখ যতই দুর্যোগ থাকুক, সকলে বেরিয়ে এসে ভোট দিন। গণতন্ত্ররক্ষার লড়াইয়ে তৃণমূল রাস্তায় থাকবে।"
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Tripura Election: বৃহস্পতিবার ভোট, তার আগে ত্রিপুরা জুড়ে ইস্যু জমা জলের যন্ত্রণা
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement