Tripura News: বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোই আসল কাজ, উপলব্ধির বার্তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

Last Updated:

বন্যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির প্রসঙ্গ ফের মনে করালেন মানিক সাহা ৷

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Photo Courtesy: Dr. Manik Saha/Facebook Page)
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Photo Courtesy: Dr. Manik Saha/Facebook Page)
আগরতলা: বিপদের সময়ে মানুষের পাশে থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও অনভিপ্রেত ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয় সরকার। কঠিন সময়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। এই লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান ত্রিপুরা সরকার। পাশাপাশি, যেকোনও অনভিপ্রেত ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আগরতলায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-এর অগাস্ট মাসে যে বন্যা পরিস্থিতি ত্রিপুরায় তৈরি হয়েছিল তা রাজ্যবাসী আগে দেখেনি। মানিক সাহা বলেন, গত বছর ১৯ অগাস্ট দিল্লি থেকে ফিরে তিনি মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে আমাদের কী করণীয় তা নির্ধারণ করেন। বিপর্যয় থেকে উত্তরণের জন্য অফিসার থেকে শুরু করে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিপর্যয়ের সময়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংগঠনগুলিও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছে। এর জন্য সরকার ও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
advertisement
advertisement
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, অভয় মিশন ও তার সহযোগী সংস্থা বন্যা দুর্গত প্রায় ৫,৬০০ পরিবারকে সহায়তা করেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারও যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছে। এয়ারফোর্স, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ-সহ বিভিন্ন সংস্থা ও সবাই মিলে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করেছে। আর এই বিপদের সময় সবাই মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সহায়তা প্রদান করেছেন। এটা আগামী দিনেও একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী, পেনশনার, ব্যবসায়ী, ক্লাব, সামাজিক সংস্থা সংগঠন-সহ সকল স্তরের মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বন্যার সময়ে রাজ্যের ১২টি নদীর মধ্যে জুরি নদী বাদ দিয়ে বাকি সবগুলি নদীই বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ৬টি নদীতে জলস্তর চূড়ান্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছিল।
advertisement
রাজ্যের ৮টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমতী, দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলা। অন্যান্য জেলাগুলিতেও কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। এই বন্যায় প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রায় চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং বন্যার সময় ৮৮৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। আর সেখানে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Tripura News: বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোই আসল কাজ, উপলব্ধির বার্তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement