#আগরতলা: ভোট মিটতে না মিটতেই ত্রিপুরায় (Tripura Civic Polls) ফের নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও সিপিএম (CPM) (Tripura Civic Polls | TMC CPM on Repoll)। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বামেরা। বামেদের দাবি, আগরতলার প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে ভোটগ্রহণ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে ত্রিপুরায়। আর তাতে মদত দিয়েছে রাজ্যের বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার (Tripura Civic Polls | TMC CPM on Repoll)। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের অবজার্ভার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। প্রশাসন নির্বিকার। অবাধে ছাপ্পা হয়েছে। প্রায় ১০০ অভিযোগ আমরা ইসি'তে করেছি। এটা ভোট হয়নি।' (Tripura Civic Polls | TMC CPM on Repoll)
তৃণমূলের দাবি, 'শুরু থেকেই বলেছি গণতন্ত্র বলে কিছু নেই এখানে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গণতন্ত্রে শ্রেষ্ঠ উৎসব বলা হত আজকের দিনকে। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। শাসক দল তাদের জনসমর্থন হারিয়েছে। সেই কারণে সকাল থেকেই এক তরফা ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। বহু প্রার্থী আক্রান্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বিজেপির শেষের শুরু।' তৃণমূলের দাবি, ভোট বাতিল করা হোক, শুক্রবারই পুনর্নিবাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে দল। রাজীবের বক্তব্য, 'শাসক দলের বিধায়ক আর মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন সেটা তাদের নিজের ব্যাপার। তবে আমরা শাসক দলের বিধায়ককে কিছু বলতে বলিনি। শাসক দলের বিধায়ক মনে করছেন গণতন্ত্র বিপন্ন। তাই তিনি রাস্তায় নেমেছেন।'
আরও পড়ুন: কার ভোট কে দিচ্ছে! ত্রিপুরায় অবাধ ছাপ্পার ভিডিও প্রকাশ্য, কড়া সুপ্রিম কোর্টও
আরও পড়ুন: দু-চোখই নষ্ট তৃণমূল প্রার্থীর! ত্রিপুরা দাপাচ্ছে 'গুণ্ডাবাহিনী', ভোট লুঠের ছবিও এল প্রকাশ্যে
অন্যদিকে, বামেরাও একই বিষয়ে সরব। সিপিএমের অভিযোগ, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তাদের দলের পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বুথের ভিতরে সাংবাদিকদের ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে ফোন করেছিলেন। অভিযোগ, সেই ফোনও ধরা হয়নি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'রাজ্যের বিজেপি সরকার পুরভোটে দিনদুপুরে গণতন্ত্রের অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে। ভোটের মতো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে ওরা।'
আগরতলা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর এলাকার ২২২টি আসনে ভোট ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। হিংসা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।