#নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে হিটলারের তুলনা করল তৃণমূল । দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "হিটলার সংসদ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদি তিলে তিলে বিষিয়ে তুলছেন সংসদকে।" উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় আধার ও ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণ বিষয়ক বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন সেক্রেটারি জেনারেলের দিকে রুল বুক ছুঁড়ে মারার অভিযোগে চলতি অধিবেশনের জন্য ডেরেক ও'ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়। স্বভাবতই এদিন তিনি রাজ্যসভায় ঢুকতে পারেননি।
সকালে তিনি সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধিমূর্তির সামনে রাজ্যসভায় সাসপেন্ডেড অন্য ১২ জন সাংসদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ডেরেক বলেন, "কেন্দ্রে গণতন্ত্র হত্যাকারী একটি সরকার চলছে। তারা হাতে ছুরি নিয়ে ঘুরছে। গণতন্ত্রকে টুকরো-টুকরো করছে প্রতিনিয়ত। এর আগে ভারতে এমন কোন সরকার দেখা যায়নি যারা প্রতি দশটি বিলের মধ্যে মাত্র একটি বিল স্ট্যান্ডিং বা সিলেক্ট কমিটিতে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছে।" আধার ও ভোটার কার্ডের সংযোগকারী 'নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল (২০২১)' প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা বলেন, "আমি এমন অনেককেই জানি যাঁদের আধার কার্ড নেই বা বৃদ্ধ বয়সে আধারের বায়োমেট্রিক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আধার ভোটার সংযুক্তিকরণ জবরদস্তি করা হলে ভোটার তালিকায় তাদের ঠাঁই হবে কী ভাবে? তা ছাড়া সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই অন্যের হাতে চলে যাওয়ার মতো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।"
আরও পড়ুন: দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠকে মোদি
এ দিন সংসদ চত্বরে সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেছেন। যার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার কথায়, "যাঁরা সংসদের অন্দরে গণতন্ত্র মানেন না, সংবিধান মানেন না, রুল বুক ছিঁড়ে ফেলেন, তাঁরা সংসদের বাইরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করে নাটক করেছেন মাত্র।" এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অপর নেতা তথা লোকসভার প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "সংসদের অভ্যন্তরে কী হবে সেটা সংবিধানে লেখা নেই। সেটা সংসদের নিয়মাবলীতে লেখা থাকে। সুতরাং প্রস্তাবনার কি মূল্য সেটা বিজেপির লোকেরা বোঝে না। আমরা সংসদের ভেতরেও প্রতিবাদ করেছি। বাইরে ও প্রতিবাদ করেছি। গত অধিবেশনের কোনও ঘটনায় ১২জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে রেখে দিয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।"
সদ্যসমাপ্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের কোনও দাবি মানা হয়নি বলে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন সৌগত রায়। তাঁর কথায়, "সরকার চায়নি সুষ্ঠুভাবে সংসদ চলুক। আমরা চাইছিলাম, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি ইস্তফা দিন। তাঁকে বরখাস্ত করা হোক। বিশেষ তদন্তকারী দল রিপোর্ট দিয়ে বলল, লখিমপুরের ঘটনায় ষড়যন্ত্র ছিল। ৪ জন কৃষককে গাড়িচাপা দিয়ে মারার পরেও ওরা কোনও পদক্ষেপ করল না। স্বভাবতই প্রতিবাদ করা ছাড়া বিরোধীদের হাতে আর কি অস্ত্র আছে। মানুষ বিচার করবে।"
RAJIB CHAKRABORTY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Derek O' Brien, TMC