Tripura|TMC: ত্রিপুরায় ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল, শিক্ষকদের সাথে দেখা করলেন সুস্মিতা দেব
- Published by:Debamoy Ghosh
Last Updated:
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি 'স্থায়ী সমাধান' আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল (Tripura|TMC)।
#আগরতলা: ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারকে চাপে ফেলতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ত্রিপুরায় গিয়েই আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব৷
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি 'স্থায়ী সমাধান' আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মাত্র দু'বছর পরে, করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, ২০২০ সালের মার্চ মাসে - সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেগুলি বাতিল করা হয়েছিল।
১০,০০০ শিক্ষকের মধ্যে একজন ছিলেন আগরতলার উজান অভয়নগরের ৬ নং ওয়ার্ডের শিউলি চক্রবর্তী - যিনি ২০১০ সালের মে মাসে চাকরি পেয়েছিলেন এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে তা হারিয়েছিলেন। শিউলি চক্রবর্তী নামে ওই শিক্ষিকার একটি কিশোরী মেয়েও রয়েছে৷ তিনজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি৷ চাকরি হারানোর অবসাদ থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা৷ পরবর্তীকালে ত্রিপুরার গোবিন্দ বল্লভ পান্ত হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান তিনি।
advertisement
advertisement
শিউলি চক্রবর্তীর ভাইঝি দীপান্বিতা চক্রবর্তী বলেন, "আমরা আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চাকরির জন্য সরকারের কাছে গিয়েছিলাম - কিন্তু কোনও সাহায্য পাইনি। তারা আমার কাকিমাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই করেনি।"
ত্রিপুরার সরকারি হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কেমন বেহাল এবং মানুষ মৌলিক চিকিৎসা পায় না তাও জানান দীপান্বিতা। তিনি বলেন, "বেশিরভাগ ডাক্তার অনুদান দেওয়ার পরে তাদের ডিগ্রি পেয়ে যাচ্ছেন এবং নামকরা রাজ্য সরকারী হাসপাতালে তাদের রাখা হয়েছে।" শুধু শিউলিই নয়, প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক তাদের চাকরি খোয়ানোর আঘাতে এবং হতাশায় মারা গিয়েছিলেন।
advertisement
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে, ত্রিপুরা সরকার চাকরি হারানো ৮,৮৮২ জন শিক্ষককে মাসিক ৩৫,০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, শিউলির শ্যালক দিলীপ চক্রবর্তীর মতে, "সরকার শুধুমাত্র এক মাসের জন্য ৩৫,০০০ টাকা ভাতা দিয়েছিল।" শিউলি চাকরি হারানোর পর থেকে দিলিপ চক্রবর্তী তাঁর পরিবারের দেখাশোনা করছেন।
মোট ১০,৩২৩ জন স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং অস্নাতক শিক্ষককে ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায় ত্রিপুরা সরকারি স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে এই বিষয়ে মামলা দায়ের হলে আদালত এই নিয়োগকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এর পরে, ২০১৭ সালে, রাজ্য সরকার একটি বিশেষ আবেদন করেছিল, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল।
advertisement
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকদের অবসর নেওয়ার কথা ছিল এবং তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এককালীন চূড়ান্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় - যার পরে শিক্ষকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিপ্লব দেবের সরকার তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল - কিন্তু তিন বছর পরেও সেটিও পূরণ করেনি। এই শিক্ষকদের পাশে পেতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। সূত্রের খবর শিক্ষক সংগঠন সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
advertisement
তৃণমূলের দাবি, সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে আরও ৫,৪৩৭ জন শিক্ষকের চাকরি ঝুলে আছে। ত্রিপুরায় গত ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকরা আমলাতান্ত্রিক সমস্যা এবং সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে বেকারত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁরা এই বিষয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, যেখানে বিচারপতিরা সরকারকে তাঁদের পরিষেবা নিয়মিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সরকারি বেতন স্কেলের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়মিত বেতন দিতে বলেছিলেন। যাই হোক, রাজ্য সরকার তাদের নিয়মিত করতে অনিচ্ছুক কারণ তারা শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা পাস করেনি।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 03, 2021 10:12 AM IST