কলকাতা: গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে খাতা অবধি খুলতে পারেনি সিপিআইএম-সহ বামফ্রন্টের কোনও দল। তবে লক্ষণীয়ভাবে বাম ছাত্র সংগঠনের পালে হাওয়া লাগছে। একসময় এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই মাঝে খুবই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় চলে গিয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা থেকে এসএফআইকে সরিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দখল নেয়। তবে সম্প্রতি আবার এসএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআই শনিবার প্রেস বিবৃতি জারি করে জানায়, গত শিক্ষাবর্ষে এসএফআইয়ের সদস্যসংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। বিগত শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএফআই-এর সদস্য বেড়েছে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন, ভাড়া শুরু মাত্র ৫ টাকা দিয়ে! কবি সুভায়-রুবি রুটে ভাড়া ঘোষণা করল মেট্রো
আরও পড়ুন, ঘাড়ের গঠনই জানিয়ে দেয় কার চরিত্র ঠিক কেমন! জানুন সামুদ্রিক শাস্ত্র কী বলছে
প্রসঙ্গত বামেদের ৩৪ বছরের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ২০১১ সালের পর প্রথমবার এ-রাজ্যে ৮ লক্ষ সদস্যপদের গণ্ডি টপকাল এসএফআই। ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৮,৩৯,১৮৫ জন্য সদস্য সংগ্রহ করেছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৭,৪৪,৩০৬ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৯৪,৮৭৯ জন সদস্য বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে।
এসএফআইয়ের রাজ্য নেতা সৃজন ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকারের অপরিসীম দুর্নীতি এবং চুরির বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা একজোট হচ্ছে যার প্রমাণ আমাদের সংগঠনের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়া।
আগামী দিনে কলেজে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাসক দলের চাপ থেকে উপেক্ষা করেও সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা বাম আদর্শই নিজেদের দীক্ষিত করবে। তবে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের এই সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যের বেশিরভাগ কলেজে যাদের সদস্যই নেই, তাদের এই রিপোর্ট সম্পূর্ন অবাস্তব। হিসাবে জল মেশানো আছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যে দিশা তার সঙ্গেই রয়েছে বলে দাবি করেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Left Front, SFI