কুৎসা, অপপ্রচার, বিরোধীদের চক্রান্ত, সাজানো ঘটনা এই বাণী দিয়ে মানুষকে আর বোঝানো যাবে না: সুকান্ত

Last Updated:

সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

কুৎসা, অপপ্রচার, বিরোধীদের চক্রান্ত, সাজানো ঘটনা এই বাণী দিয়ে মানুষকে আর বোঝানো যাবে না: সুকান্ত
কুৎসা, অপপ্রচার, বিরোধীদের চক্রান্ত, সাজানো ঘটনা এই বাণী দিয়ে মানুষকে আর বোঝানো যাবে না: সুকান্ত
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- মঙ্গলবার পানীয় জল, ঘর নিয়ে জঙ্গলমহলের মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত খোঁচা দিয়ে সব অভিযোগ যে বিরোধীদের চক্রান্ত  নয়, তা উল্লেখ করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দীর্ঘ পোস্টে সুকান্ত মজুমদার  লিখলেন, ‘‘#ও_দিদি_আমরা_ঘর_পাইনি_ জল_পাইনি (জঙ্গলমহলের জনগণ) ২০১১ থেকে ২০২১-এর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের ১০০ শতাংশ কাজ করে আগামী ১০০ বছরের কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করতেন। আজ জঙ্গলমহলের মানুষ বলছেন যে তারা ঘর, জল পায়নি। তাহলে ১২ বছর ধরে কি কাজ হল? ‘জঙ্গলমহল হাসছে’ এই তত্ত্ব কি মিথ্যে? দিদির মুখে কয়েকটি কমন বাণী ২০১১ থেকে রাজ্যের মানুষ শুনে আসছে বামেদের করা ঋণ, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা,কেন্দ্র সব কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এখন নতুন সংযোজন "কেন্দ্র সব বন্ধ করে দিয়েছে"। দিদি ২০১৫ সালের জুন মাসের ২৫ তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আজ ২০২২ সাল, গত ৭/৮ বছরে জঙ্গলমহলের মানুষগুলো ঘর পেল না কেন? নাকি নাম পরিবর্তন করে বাংলার আবাস যোজনার প্রচার করতে জঙ্গল মহলের মানুষগুলোর কথা মনে পরেনি? ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রেও ২০ হাজার টাকা করে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। শৌচাগার বানানোর জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে। আজ বলছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষকে একবার বলুন না, আমার ভাইরা পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করে প্রাসাদ অট্টালিকা বানিয়েছে। এখন কেন্দ্রকে হিসেব দেওয়া যাচ্ছে না তাই টাকা বন্ধ। চোরেদের জেলে ভরুন, টাকা খরচের সঠিক হিসাব দিন আমরা টাকা আদায়ের জন্য দিল্লিকে অনুরোধ করবো। মুখ্যমন্ত্রী আজ বলছেন ২০২৪ এর মধ্যে সবাইকে জল দিয়ে দেওয়া হবে। সত্যটা হলো ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয় ২০২৪ এর মধ্যে সকলের বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছিলেন। কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে সেই খাতে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেখান থেকেও জলের ট্যাপ কিনতে কাটমানি খাওয়া হয়েছে।’’
advertisement
advertisement
‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সব কাজ মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতিতে এবং শিলান্যাসে শেষ হয়ে যায় বাস্তবে তা আর সম্পন্ন হয় না। কেন্দ্রের কাজে স্টিকার বসিয়ে নিজের বলে চালিয়ে বাকি ক্রেডিট কুড়িয়ে নেন। #কুৎসা #অপপ্রচার #বিরোধীদের_চক্রান্ত #সাজানো_ঘটনা এই বাণী দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না কারণ সত্যটা বেড়িয়ে পড়েছে ।’’ ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এবার সুর চড়ালেন সুকান্ত মজুমদার।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
কুৎসা, অপপ্রচার, বিরোধীদের চক্রান্ত, সাজানো ঘটনা এই বাণী দিয়ে মানুষকে আর বোঝানো যাবে না: সুকান্ত
Next Article
advertisement
এক ছবিতেই ৭২টা গান ! এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি, বলিউডের বিশুদ্ধ বিস্ময় ‘ইন্দ্রসভা’
এক ছবিতেই ৭২টা গান ! এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি, বলিউডের বিশুদ্ধ বিস্ময় ‘ইন্দ্রসভা’
  • এক ছবিতেই ৭২টা গান !

  • এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি

  • বলিউডের বিশুদ্ধ বিস্ময় ‘ইন্দ্রসভা’

VIEW MORE
advertisement
advertisement