পায়ে হেঁটে ১৮০০ কিলোমিটার!‌ মুম্বই থেকে চাইবাসায় বাড়ি ফিরলেন সাত শ্রমিক

Last Updated:

করোনা আতঙ্কে চলতি লকডাউনের কারণে একসময় জমানো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের।

#‌চাইবাসা:‌ কোথায় ঝাড়খণ্ড, কোথায় মুম্বই!‌ লকডাউনের মধ্যে পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্যেই ফিরলেন একদল শ্রমিক। মোট পথের দূরত্ব ১৮০০ কিলোমিটার। প্রতিদিন গড়ে ৪৫ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন তাঁরা। কখনও জল পেলেন না, কখনও খাবার পেলেন না। তবু বাড়ি ফেরার নেশায় অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এই পরিযায়ী শ্রমিকের দল। তাঁদের বিপুল রাস্তা পেরিয়ে আসার গল্প শুনলে যে কারওর চোখে জল আসতে বাধ্য।
করোনা আতঙ্কে চলতি লকডাউনের কারণে একসময় জমানো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। তাই বাঁচতে নবি মুম্বইয়ের পুরাপানি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। ২ মে, রাত তিনটের সময় তাঁদের যাত্রা শুরু হয় খালি পেটে। প্রতিদিন গড়ে ৪০–৪৫ কিলোমিটার যাত্রা করতেন তাঁরা, ঘুমোতেন পেট্রোল পাম্পে, গাছের তলায়, কখনও বা রাস্তার ধারে। গাড়ি চাপা পড়ার ভয় থাকলেও উপায় ছিল না। মাঝে মাঝে ভাগ্য ভাল থাকলে পুলিশ বা ট্রাক চালকেরা কিছু পথ গাড়ি‌তে এগিয়ে দিতেন। সেই ভাবেই তাঁরা পৌঁছে গেলেন ঝাড়খণ্ডে।
advertisement
‘‌লকডাউন ঘোষণার পর থেকে যে নির্মাণ শিল্পে আমরা কাজ করতাম, তা বন্ধ হয়ে যায়। জমানো টাকা দিয়ে ক’‌দিন চলছিল। শেষে তাও ফুরিয়ে যায়, এদিকে আমাদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনা। তখন দুটোই উপায় ছিল, হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে খালি মেটে মৃত্যু অথবা হেঁটে বাড়ি ফেরা’‌, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন শ্রমিকদের সদস্য, সতরিয়া হেমব্রম।
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
পায়ে হেঁটে ১৮০০ কিলোমিটার!‌ মুম্বই থেকে চাইবাসায় বাড়ি ফিরলেন সাত শ্রমিক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement