#নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ১০০ বছরের রীতি ভেঙে এই প্রথমবার কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন মহিলারা ৷ কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন এই ধর্মীয় প্রথাকে বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া হাজার হাজার ভক্ত ৷ হাজার হাজার ভক্তের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে ৷ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সকলে ৷ প্রয়োজনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা ৷ শবরীমালার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তুলনা করেন সীতারাম ইয়েচুরি ৷ সেই মন্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভিএইচপি-র মুখপাত্র বিনোদ বনসল বলেন, শবরীমালা মন্দির দক্ষিণ ভারতের অযোধ্যায় পরিণত হয়েছে ৷
কেরলের বামশাসিত সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেন বনসল ৷ একটি জাতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি নিয়ে যেভাবে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ৷ শবরীমালার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিও ঠিক তেমনই ৷ যার জন্য দায়ী সিপিআইএম ৷ কারণ শবরীমালা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে যেভাবে হিন্দু ছাড়াও অন্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে ৷ সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা ৷ তাই শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের বিরুদ্ধে যারা সরব হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷’
এতদিন শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল । ৫৩ বছরের এই পুরনো প্রথা বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট । মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতের মন্তব্য, ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য থাকতে পারে না। শবরীমালা মন্দিরের এই প্রথায় মহিলাদের অধিকার খর্ব হচ্ছিল। মহিলাদের বাধাদান ধর্মের অংশ নয়। রায় দিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সমর্থন করে কেরল সরকার ৷ যার জেরে বিজেপি এবং কংগ্রেসের তোপের মুখে পড়ে কেরলের বাম সরকার ৷ বিজেপির দাবি, ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত আনা হচ্ছে ৷