রিপড জিনস বিতর্ক নিয়ে উত্তাল দেশ, কবে থেকে আর কেন শুরু হল এই জিনস পরা?
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
আজ এই জিনস নিয়ে এত বিতর্ক হলেও, এই পোশাকের জন্ম ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো।
#দেহরাদুন: উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে আপাতত উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত (Tirath Singh Rawat) বলেছিলেন যে রিপড বা ফাটা জিনস সমাজের কাছে একটা বাজে উদাহরণ তুলে ধরে। যে সব মেয়েরা এই জাতীয় জিনস পরেন, তাঁদের বাবা-মায়েরা অন্যদের কাছে খারাপ নিদর্শন তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন যে হাঁটুর কাছে ছেঁড়া জিনস পরা পাশ্চাত্যের রীতি, ভারতের নয়। অথচ পাশ্চাত্যের মানুষ আজ ভারতের যোগব্যায়াম শিখছে এবং ভারতীয় মর্যাদায় পোশাক পরা শুরু করেছেন। অথচ ভারতীয়রা তার উল্টো পথে হেঁটে নগ্নতা বেছে নিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস আয়োজিত অ্যান্টি সাবসটেন্স অ্যাবিউজ কর্মশালা, যা দেহরাদুনে আয়োজিত হয়েছিল, সেখানেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। এতে যোগ দেন বলিউডের তারকারাও। সম্প্রতি অভিনেত্রী ও মডেল গুল পনাগ (Gul Panag) তাঁর মেয়েকে নিয়ে রিপড জিনস পরে একটি ছবি দেন। রিপড জিনস পরে ছবি দেন কঙ্গনা রানাউতও (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন স্টাইল বজায় রেখে এই জিনস পরলে কোনও দোষ হয় না। একই পোশাক পরে বার্তা দেন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দা (Navya Naveli Nanda)। নভ্যা বলেন যে সমাজের মানসিকতা পাল্টানো অনেক বেশি জরুরি, নিজের পোশাক পরিবর্তন করার চেয়ে।
advertisement
তবে আজ এই জিনস নিয়ে এত বিতর্ক হলেও, এই পোশাকের জন্ম ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। এক সময়ে এখানে ফাটা, ওখানে ছেঁড়া এই জিনস নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। পরে দেখা যায় সেটাই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
১৮৭০ সালে লোয়েব স্ত্রস নামে এক জার্মান ব্যবসায়ী এই জিনসের ডিজাইন করেন। পরে অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর নকশায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই জিনস মূলত ডিজাইন করা হয়েছিল শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য। জিনসের রঙ রাখা হয়েছিল ঘন নীল, যাতে সেটা চট করে নোংরা না হয়। এই নীল রঙ যেত ভারত থেকে।
advertisement
আর পরে ১৯৭০-এর দিকে এই জিনস রাজনৈতিক আন্দোলনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। তরুণ প্রজন্ম ভাবতে শুরু করে যে এই কাটা দাগ তাঁদের রাগ আর আক্রোশের অনুরণন। অনেকে বাড়িতেই ভালো জিনস কেটে দিয়ে সেটা পরতে শুরু করেন। রিপড জিনসকে সেই সময় গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা দেন পপ তারকা ম্যাডোনা (Madonna)।
অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেলেও অনেকে এই ট্রাউজারের বিরোধিতাও করেন। তাঁদের মতে এই ছেঁড়া ফাটার ব্যাপারটা বাড়িতেই অনায়াসে করে নেওয়া যায়, তাই একগাদা দাম দিয়ে রিপড জিনস কেনার দরকার নেই।
advertisement
২০১০ পর্যন্ত এই ফ্যাশন ইন থিং ছিল। পরে আবার 'ডিসট্রেসড' জিনস রূপে আত্মপ্রকাশ করে এই রিপড জিনস।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
March 19, 2021 12:56 PM IST