Ram Mandir inauguration: তিরিশ বছর কথা বলেননি, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন নীরবতা ভাঙবেন 'মৌনী মাতা'
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
দিনে একবারই নিরামিষ খাবার খেতেন সরস্বতী দেবী৷ খাদ্য তালিকায় থাকত ভাত, রুটি এবং ডাল৷
ধানবাদ: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেদিন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংস হয়েছিল, সেদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য মৌনব্রত শুরু করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মধ্য পঞ্চাশের এক মহিলা৷ তাঁর শপথ ছিল, সরযূ নদীর পাড়ে যেদিন রাম মন্দির গড়ে উঠবে, সেদিনই কথা বলবেন তিনি৷
সেদিনের মধ্য পঞ্চাশের সরস্বতী দেবী নামে সেই মহিলার বয়স এখন ৮৫৷ তিন দশক পেরিয়ে আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সেই মৌনব্রত ভাঙবেন তিনি৷ তবে দূর থেকে নয়, অযোধ্যায় উপস্থিত থেকেই রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকবেন সরস্বতী দেবী৷ সোমবার রাতেই ধানবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি৷
advertisement
advertisement
সরস্বতী দেবীর ছোট ছেলে হরে রাম আগরওয়াল জানিয়েছেন, মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসের অনুগামীরাই তাঁর মাকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ তিন দশক ধরে মৌনব্রত পালন করার জন্য মৌনি মাতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন৷ যেদিন থেকে রাম মন্দিরের নির্মাণকাজের ঘোষণা হয়েছে, সেদিন থেকেই আনন্দে ছিলেন তিনি৷
advertisement
হরে রাম আগরওয়াল বলেন, যেদিন বাবরি মসজিদ ধংস হয়েছিল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর শপথ নেন যে রাম মন্দির নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি মৌনব্রত পালন করবেন৷ মন্দিরের নির্মাণ কাজের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই খুশি ছিলেন তিনি৷
সরস্বতী দেবীর ছেলে জানিয়েছেন, তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মৌনব্রত পালন করা সরস্বতী দেবী এবং তাঁর পরিবারের কাছেও সহজ ছিল না৷ সঙ্কেতের মাধ্যমেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতেন তিনি৷ জটিল কোনও বাক্য বোঝানো অথবা প্রয়োজনে তিনি তা লিখে দিতেন৷
advertisement
তবে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিনে একবার মৌনব্রত থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন সরস্বতী দেবী৷ ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুরে একঘণ্টা কথা বলতেন তিনি৷ তবে ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের ভিত পুজো করার পর থেকে ফের একবার সম্পূর্ণ মৌনব্রত পালন শুরু করেন তিনি৷
সরস্বতী দেবীর আট সন্তান৷ তাঁর মধ্যে চার জন ছেলে, চার জন মেয়ে৷ সরস্বতী দেবীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে তাঁর স্বামী দেবিকানন্দন আগরওয়ালের মৃত্যুর পর থেকেই নিজের জীবন শ্রী রামেকে সঁপে দেন সরস্বতী দেবী৷ তার পর থেকে অধিকাংশ সময় তীর্থ করেই জীবন অতিবাহিত করেছেন সরস্বতী দেবী৷
advertisement
২০০১ সালে নিজের সন্তানদের জন্য মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে সাত মাস তপস্যা করেছিলেন সরস্বতী দেবী৷ কথিত আছে, বনবাসের সময় চিত্রকূটে একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন রামচন্দ্র৷
সরস্বতী দেবীর পুত্রবধূ ইন্নু আগরওয়াল জানিয়েছেন, প্রতিদিন ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তেন তাঁর শাশুড়ি৷ তার পর সকালবেলা ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ধ্যান করতেন তিনি৷ প্রতিদিন বিকেলে সন্ধ্যা আরতি সেরে রামায়ণ, গীতা পাঠ করতেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, দিনে একবারই নিরামিষ খাবার খেতেন সরস্বতী দেবী৷ খাদ্য তালিকায় থাকত ভাত, রুটি এবং ডাল৷ এ ছাড়া সকাল এবং বিকেলে এক গ্লাস করে দুধ পান করতেন ওই বৃদ্ধা৷ প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, তাঁরা কখনও সরস্বতীদেবীকে কথা বলতে দেখেননি৷
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 09, 2024 9:09 PM IST