Rajdhani-Shatabdi Express: আর শুধুমাত্র ‘রেড টু ইট মিল’ নয়, আজ থেকে রাজধানী-শতাব্দীতে ফের মিলবে রান্না করা খাবার
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Rajdhani-Shatabdi Express Hot Meal Service: ই-ক্যাটারিং এর পাশাপাশি চালু হয়ে গেল প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও।
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ‘স্পেশাল’ থেকে ‘নর্মাল’ হয়েছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই পূর্বের মতো ছুটছে ভারতীয় রেল। আর স্পেশাল থেকে নর্মাল-রেগুলার হতেই স্বাদ ফিরছে ভারতীয় রেলের। ফলে ভারতীয় রেলে ফের মিলবে চিকেন কাটলেট, বোনলেস চিকেন। এর পাশাপাশি ভাত, ডাল, রুটি, স্ন্যাক্স তো থাকছেই (Rajdhani-Shatabdi Express Hot Meal Service)।
আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী, শতাব্দী-সহ একাধিক ট্রেনে ফের মিলবে খাবার। করোনা পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্যান্ট্রি কার পরিষেবা। একমাত্র দেওয়া হচ্ছিল ‘রেডি টু ইট’ মিল। সেখানে ছিল নুডলস, পোহা-সহ বেশ কিছু বাছাই করা খাবার। প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ফের চালু করার জন্য রেলের কাছে গত বছরই অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি। তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে রেল বোর্ড।
advertisement
advertisement
এই বিষয়ে গত নভেম্বর মাসে একদফা ক্যাটারিং পলিসি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল।আই আর সি টি সি'র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘‘ফের এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাওয়ায় দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হল। আবার তাঁরা তৈরি করা খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন। আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি সর্বত্র। আমাদের যে সব কিচেন আছে সেগুলির পরিকাঠামো দেখা হচ্ছে। রান্না করা খাবার আবার দেওয়া শুরু।’’
advertisement

করোনা পরিস্থিতিতিতে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশজুড়ে । সংক্রমণের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তার পর থেকে রেলে শুকনো খাবার মিললেও তৈরি খাবার পাওয়ার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। তবে কিছুদিন আগে ই-ক্যাটারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফলে অর্ডার দিয়ে মিলছিল নানা স্বাদের খাবার। দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন শুরুর পর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয় রেল।
advertisement
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম কয়েক মাস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে সেই সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকলেও রান্না হত না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইআরসিটিসি বিভিন্ন স্টেশনে শুকনো খাবার দেওয়ার পরিষেবা চালু করেছিল ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে। অর্থাৎ, যাত্রীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট কেটারিং সংস্থা সেই যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন। এবার থেকে ই-ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে রেলের পুরনো প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও পেয়ে যাবেন যাত্রীরা।
advertisement
সাধারণভাবে ট্রেনের একটি প্যান্ট্রি কারে রাঁধুনি এবং ওয়েটার-সহ ২০ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। কমবেশি ৩৫০ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ছিল। এর মধ্যে আছে মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, প্রিমিয়াম সার্ভিস ট্রেন রয়েছে। উল্লেখ্য ট্রেনের প্যান্ট্রিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা রেলের স্থায়ী কর্মী নন। বেসরকারি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে থাকেন। তাই ফের এই পরিষেবা চালু হলে তাঁদের রুজি রোজগারের সুরাহা হবে।
Location :
First Published :
January 18, 2022 8:23 AM IST