শবরীমালা মন্দিরে ৫০ অনূর্ধ্ব দুই মহিলার প্রবেশ, প্রতিবাদে কেরলে ১২ ঘণ্টার বন্ধ
Last Updated:
#তামিলনাড়ু: এ যেন এক নতুন স্বাধীনতা। শবরীমালায় মন্দিরে লেখা হল এক নতুন অধ্যায়। যে মন্দিরে, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, সেখানেই, বুধবার সকালে গিয়ে পুজো দিয়ে এলেন বছর চল্লিশের দুই মহিলা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই কেরল জুড়ে চাঞ্চল্য ! ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ সমর্থনকারীদের তাণ্ডবের খবর মিলেছে। বাস ভাঙচুর, অবরোধ বিক্ষোভে উত্তাল কার্যত গোটা রাজ্য। কোঝিকোড়, পান্ডালামে ইটবৃষ্টি, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বন্ধ সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, গতকালের গন্ডগোলে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। রাস্তা অবরোধ, জোর করে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বিভিন্ন জায়গায়।
advertisement
নতুন বছর, কেরলের শবরীমালায় নতুন সকাল। বুধবার ভোর তখন পৌনে চারটে। ঋতুমতী মহিলার প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাকে চূর্ণ করে কেরলের মল্লপুরমের বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের দুর্গা পা রাখলেন শবরীমালায়। তাঁর সঙ্গে কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা, বছর বিয়াল্লিশের বিন্দু। । এ মন্দিরে ঋতুমতী মহিলার প্রবেশ নিষেধ। এর বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার প্রেক্ষিতে, গত বছর সুপ্রিম কোর্ট সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের নির্দেশ দেয়। তার পর থেকে বহু মহিলা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু আয়াপ্পার দর্শন হয়নি। ভক্তদের একাংশের দাদাগিরির জেরে আয়াপ্পার মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলা পা রাখতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা পরম্পরা চলছিলই। বুধবার কাকভোরে যা ভেঙে খানখান। এ দিন শবরীমালায় পা রাখেন
advertisement
advertisement
দুজনেই এ দিন শবরীমালা মন্দিরে গিয়ে আয়াপ্পার দর্শন করেন। পুজোও দেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই কেরল জুড়ে তোলপাড়। মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং বিজেপি দাবি করে, এটা মোটেই কোনও ঐতিহাসিক ঘটনা নয়। যা হয়েছে তা শবরীমালা মন্দিরের ঐতিহ্যের বিরোধী। শবরীমালার প্রধান পুরোহিত তো সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মন্দিরের দরজাই বন্ধ করে দেন। ভিতরে চলে শুদ্ধিকরণের কাজ। কিন্তু, সিপিএম পরিচালিত কেরল সরকার, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহালের পক্ষে। এ দিন, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশ মতো কনকদুর্গা ও বিন্দু - এই দুই মহিলার জন্যই পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, এত পুরনো পরম্পরা ভাঙায় কেরলের নানা প্রান্তে শুরু হয় অশান্তি। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে লক্ষ করে ইটছোড়া হয়। পালটা পুলিশও লাঠিচার্জ করে। কিন্তু, এ সবকে ছাপিয়ে, ভগবানের আপন দেশের হয় তো শুধুই মনে পড়ছে বিন্দু ও কনকদুর্গার কথা। তাঁদের প্রথা ভাঙা পুজোর কথা।
advertisement
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
January 03, 2019 9:54 AM IST