করোনা কালে ডিম-মাংস খাবেন কী, দেশীয় পোল্ট্রি ও প্রাণীসম্পদ শিল্পই সঙ্কটের মুখে

Last Updated:

পোল্ট্রি মুরগির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাবার সয়াবিন মিল, ভুট্টার গুঁড়া, গমের গুঁড়া, চালের কুঁড়াসহ সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়ার ফলে এই সমস্যা

#নয়াদিল্লি: ভারতীয় বাজারগুলিতে পোল্ট্রি শিল্প এবং প্রাণীসম্পদ শিল্প একটি উন্নতমানের কর্মসংস্থান। এই শিল্পে মুনাফা বেশ ভালই পাওয়া যায়। তাই বহু পরিবার এই জীবিকা ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তবে বর্তমানে বেশ সঙ্কটের মুখে পড়েছে পোল্ট্রি ও প্রাণীসম্পদ শিল্প।
কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি বিশেষ করে পোল্ট্রি মুরগির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাবার সয়াবিন মিল, ভুট্টার গুঁড়ো, গমের গুঁড়ো, চালের কুঁড়াসহ সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়ার ফলে এই সমস্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাদের কথা, যদি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে আরও বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হবে এই শিল্প।
advertisement
ভারতীয় প্রাণিসম্পদ খাতটি (Livestock Sector) বর্তমানে কৃষি GDP বৃদ্ধিতে 15.6 শতাংশ এবং জাতীয় GDP বৃদ্ধিতে ৪.১১ শতাংশ অবদান রাখে। তবে বর্তমানে এই শিল্পের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বেশ সঙ্কটের মুখে।
advertisement
অন্যদিকে GDP বৃদ্ধিতে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার অবদান রয়েছে পোল্ট্রি সেক্টরের (Poultry sector)। গত বছর করোনাকালে মুরগির রোগ সংক্রান্ত একাধিক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালে মাত্র তিন মাসের মধ্যে পোল্ট্রি শিল্প ২৬,০০০ কোটিরও বেশি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছিল।
advertisement
এটি কেবল শুধুমাত্র হাঁস-মুরগির শিল্পকেই নয়, অন্যান্য সহায়ক শিল্প যেমন পশুপালক খাদ্য উৎপাদনকারী শিল্পকেও প্রভাবিত করেছিল। একদিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচড় অন্যদিকে কাঁচামাল বিশেষ করে সয়া খাবারের দাম গত কয়েকমাসে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বর্তমানে সবদিক থেকে একপ্রকার জর্জরিত হয়ে পড়েছে এই শিল্প।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ইন্দোরের বাজারে সয়া খাবারের ৪৬ শতাংশ প্রোটিনের মূল্য ছিল ৩০,০০০। যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৫৪,৫০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় সয়া খাবারের দাম ৮২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনই পাওয়া যায়নি।
advertisement
যেহেতু বাজারে প্রচুর সয়া স্টোক রয়েছে। এই পরিস্থিতিটি পর্যালোচনা করে, পশুপালন ও মৎস্য বিভাগ, বাণিজ্য অধিদফতরের (Department of Commerce) আন্ডার সেক্রেটারি অফিসে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এই স্মারকলিপিতে এই সমস্ত সেক্টরগুলিকে আগামী দিনে আরও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সয়া খাবারের আমদানিতে ট্যাক্স প্রত্যাহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আনমোল ফিডস প্রাইভেট লিমিটেডের (Anmol Feeds Pvt. Ltd.) চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত সরোগি (Amit Saraogi) বলেন,
"সয়া খাবারের ক্রমবর্ধমান ফুরিয়ে যাওয়া প্রাণীখাদ্যের দামের উপর প্রভাব ফেলছে যা গত এক বছরে সামগ্রিকভাবে ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণীখাদ্যের শিল্প গ্রাহক বেসের ক্ষয়ক্ষতি এবং খাদ্যের চাহিদা হ্রাস হওয়ার ভয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকরা এই সয়ার দাম বাড়িয়ে দিতে পারছেন না, যা প্রাণীখাদ্যের উৎপাদনকারীদের ক্ষতির মুখে ফেলছে।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
করোনা কালে ডিম-মাংস খাবেন কী, দেশীয় পোল্ট্রি ও প্রাণীসম্পদ শিল্পই সঙ্কটের মুখে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement