PMO on PM CARES Fund: পিএম কেয়ারর্স ফান্ড রাষ্ট্রের তহবিল নয়, সরকারের নিয়ন্ত্রণও নেই: প্রধানমন্ত্রীর দফতর
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
PMO on PM-CARES Fund: প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে আরও জানানো হয়, পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে বাজেট থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। স্বেচ্ছায় যারা অনুদান জমা দেন, সেটাই শুধু জমা পড়ে। কোনও আইনের মাধ্যমেও এই তহবিল তৈরি করা হয়নি।
#নয়াদিল্লি: পিএম কেয়ারর্স ফান্ড (PM-CARES Fund) নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক লেগে রয়েছে। এবার আদালতের আঙিনাতেও পিএম কেয়ারর্স ফান্ড নিয়ে তৈরি বিতর্কের অবসানে দিল্লি হাইকোর্ট জানাল, পিএম কেয়ারর্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়। কেবল ভারতীয় আইনের আওতাধীন একটি দাতব্য সংস্থা। দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) পর্যবেক্ষণ, ‘রাষ্ট্রের গচ্ছিত তহবিলের অংশ নয় পিএম-কেয়ার্স ফান্ড।‘ আসলে পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। তার প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ শ্রীবাস্তব লিখিতভাবে আদালতে জানিয়েছেন, তথ্য জানার আইনে তৃতীয় সংস্থার তথ্য প্রকাশ করার অধিকার নেই। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে আরও জানানো হয়, পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে বাজেট থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। স্বেচ্ছায় যারা অনুদান জমা দেন, সেটাই শুধু জমা পড়ে। কোনও আইনের মাধ্যমেও এই তহবিল তৈরি করা হয়নি।
আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর নামেই পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের তহবিল তৈরি। একাধারে তিনি যেমন এই তহবিলের চেয়ারম্যান, তেমনই তহবিলের ঠিকানা হিসেবেও উল্লেখ রয়েছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীও এই তহবিলের এক-একজন অছি পরিষদ সদস্য। শুধু তাই নয়, পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের যে ওয়েবসাইট, তাতে একাধারে যেমন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি, তেমনই জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভও রয়েছে। এমনকী পিএম কেয়ারর্স ফান্ডে অর্থ সাহায্যের আবেদন করে সরকারি খরচে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রক, সরকারী কর্মীদের বেতন কেটেও এই ফান্ডে টাকা জমা করা হয়েছে। অথচ আজ দাবি করা হচ্ছে, পিএম কেয়ারর্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়! স্বাভাবিক কারণেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
advertisement
advertisement
কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির একজোট হয়ে প্রশ্ন তুলছে, এখন বলা হচ্ছে, পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে একটা বেসরকারি তহবিলে চাঁদা জোগাড়ের জন্য নিজের পদ কেন ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদি? তবে, দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ নির্ধারিত হিসেব পরীক্ষক এই তহবিল অডিট করবেন। তাতে অবশ্য বিতর্ক থেমে থাকছে না।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 24, 2021 9:29 AM IST