#বান্দা: সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা এক দলিত স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে পুলিশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার বাবেড়ু থানা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ভোররাতে । এই ঘটনার পর ওই কিশোরীর বাড়ির লোক স্কুল অথরিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, স্কুলের মাইনে সঠিক সময় দিতে না পারার কারণে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি কিশোরীকে। তারপরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর নাম সঞ্জনা। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। লকডাউনে অনেকেরই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। গত বছর মার্চ থেকে স্কুলের মাইনে সঠিক ভাবে দিতে পারেননি সঞ্জনার পরিবার। যার কারণে তাকে হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু সে কোনও পরীক্ষা দিতে পারেনি। কিন্তু সেই কারণে সঞ্জনা এমন একটি ঘটনা ঘটাবে, তা তার পরিবার কল্পনাও করেননি কখনও। কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
কিশোরীর বাবা অনন্ত কুমার পুলিশের কাছে স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ২১ ডিসেম্বর সঞ্জনাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি স্কুল থেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি কোনও এফআইআর দায়ের করেননি। অন্যদিকে, পুলিশের এক আধিকারিক ভাস্কর মিশ্র জানিয়েছেন, "প্রাথমিক তদন্তে আমরা স্কুলের রেজিস্ট্রেশন চেক করে জানতে পেরেছে সঞ্জনা ২১ ডিসেম্বর পরীক্ষা দিয়েছিল"। তাঁর মতে, স্কুল রেকর্ড থেকে দেখা যায় যে ওই কিশোরী কেবল ২৩ এবং ২৬ ডিসেম্বর, শেষ দু’টি পরীক্ষা দেয়নি।
পুলিশের আরও এক কর্মকর্তা মহেন্দ্র প্রতাপ চৌহান বলেছিলেন, "ত্রিশ জন ছাত্রী স্কুলের মাইনে দিতে পারেনি গত বছর। তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে সঞ্জনার ক্ষেত্রে বিরূপ ঘটল কেন? সেই সব দিক বিচার করে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি"।
আসল বিষয়টি কী? তা এখন পুলিশ তদন্ত করছে এবং সঞ্জনার মোবাইল ফোন ও অন্যান্য তথ্য ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুই কি পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে আত্মহত্যা করল সঞ্জনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে! সমস্ত কিছুই ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ।