#রোহতক: তিন বছর ধরে টানা ধর্ষণ করেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। শাস্তি হিসাবে জেলে কাটাতে হবে ২০ বছর। দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে গুরমিত রাম রহিমকে ১০ বছর করে দুটি অপরাধে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। বিশাল প্রতিপত্তি এখন অধরা ৷ হাতের সামনে শুধুই জেলের গারদ ও পরনে জেলের কাপড় ! বাবা রাম হরিমের গায়ে নায়ক, গায়ক, ভগবানের দূত ছেড়ে শুধুই ধর্ষক ট্যাগ ৷
সম্প্রতি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে সুনারিয়া জেলে গিয়েছিলেন রাম রহিমের মা নসিব কৌর ৷ সূত্রের খবর, মাকে দেখে প্রথমেই ডেরার খবর জানতে চান ‘ধর্ষক বাবা’ ৷ তার ডেরা সাচা সৌদার সাম্রাজ্যের কাজ ঠিকমত চলছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন করেন ৷
রাম রহিমের গ্রেফতারের পর থেকেই ডেরা অবস্থা খুব খাপার ৷ দফায় দফায় ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কিত ও অবৈধ জিনিস ৷ সামনে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ ডেরার পরবর্তী প্রধান কে হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল তুঙ্গে ৷ প্রসঙ্গত নসিব রাম রহিমের ছেলে গুরমিতকে ডেরার পরবর্তী প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন ৷ অন্যদিকে শানা যচ্ছিল যে রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীতকে ডেরার প্রধান করতে চায় রাম রহিম ৷ তবে ডেরা চেয়ারপার্সন বিপাসনা জানিয়েছেন, যে ডেরার প্রধান রাম রহিমই থাকবেন ৷ যেভাবে কাজকর্ম চলছিল তাই চলবে ৷
২৫ অগাস্ট থেকে জেলে রয়েছে রাম রহিম ৷ এই প্রথম রাম রহিমের পরিবারের কেউ তার সঙ্গে জেলা করতে যান ৷ ধর্ষণের অপরাধে তাঁর ২০ বছর জেলের সাজা হওয়ার পর মা নসিব কৌর, স্ত্রী হরজিত কৌর ও ছেলেমেয়েরা চলে গিয়েছেন রাজস্থানে।