#ইম্ফল: মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সাহায্য করা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর সরকার, বিতর্কের মুখে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল৷ গত ২৬ মার্চ মণিপুর সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, মায়ানমার থেকে আসা কোনও শরণার্থীকে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে কোনওরকমের আশ্রয় বা খাবার দেওয়া চলবে না৷ যদিও এই নির্দেশকে অমানবিক বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন অনেকে৷
মণিপুর সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এর আগের নির্দেশিকার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ সেই কারণেই পূর্ববর্তী নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল৷
এই মুহূর্তে মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিবেশ যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নিতে মায়ানমারের নাগরিকরা চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করছে ভারত৷ শুক্রবারই রাজধানী ইয়াঙ্গন সহ দেশের ৯টি জায়গায় প্রতিবাদী মানুষের উপরে গুলি চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে মায়ানমারের শাসক সেনা কর্তারা৷ যার ফলে বেশ কিছু শিশু সহ অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়৷ তার পরই মণিপুর সরকারের তরফে এই মুহূর্তে মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিবেশ যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ চান্ডেল, তেংগনোউপাল, কামজোং, উখরুল এবং চুরাচাঁদপুর প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, মায়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ আটকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে৷
সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে সোমবার ফের নয়া নির্দেশ জারি করেছেন মণিপুর সরকারের বিশেষ স্বরাষ্ট্র সচিব এইচ জ্ঞান প্রকাশ৷ এই নির্দেশিকায় দাবি করা হয়েছে, মণিপুর সরকার বরাবরই মায়ানমারের নাগরিকদের প্রতি মানবিক ব্যবহার করেছে৷ রাজধানী ইম্ফলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ সেই প্রক্রিয়াই জারি থাকবে৷
রাষ্ট্রপুঞ্জে মায়ানমারের দূত ভারত সহ প্রতিবেশী দেশগুলিকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে মানবিকতার খাতিরে মায়ানমারের শরণার্থীদের প্রয়োজনে আশ্রয় দেওয়া হয়৷ মণিপুর সরকারের প্রথম নির্দেশিকা দেখে অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের সুনামকে ক্ষুন্ন করবে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।