Spinach Side Effects: ভিটামিন-ফাইবারে ভরপুর পালং, কিন্তু থাইরয়েড, ইউরিক অ্যাসিডের মতো আর যে যে সমস্যায় পালং শাক খাবেন না

শীত মানেই বাজারে উপচে পড়া পালং শাক। এই শাকে থাকে আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং কে যা শরীরের ইম্যিউনিটি বাড়ায়। রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই শাক উপকারী। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পালং শাক ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এত উপকার থাকা সত্ত্বেও পালং শাক সবার জন্য নয়। কারা পালং শাক খাবেন না?

অ্যালার্জি-- এই শাকে থাকে হিসটামিন নামে এক কেমিক্যাল যা অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যালার্জির কারণ হতে পারে

কিডনিতে সমস্যা-- যাঁদের কিডনি স্টোন বা অন্য কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বেশি পালং শাক না খাওয়াই ভাল।

পেটের গণ্ডগোল-- পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে

বাতের ব্যাথা বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা--বাতের ব্যাথা বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলেও পালং শাক সামলে বেশি খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, পালং শাকে রয়েছে পিউরিন যা শরীরে যাওয়ার পর তা ইউরিক অ্যাসিডে বদলে যায়। কিছু গবেষণা অবশ্য বলছে, সব্জিতে পিউরিন বেশি থাকলে তা বাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে না। কিন্তু যাঁদের ইতিমধ্যেই ইউরিক অ্যাসিড বা বাতের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পালং শাক মেপে খাওয়াই ভাল।

পুষ্টির ঘাটতি-- পালং শাকে থাকে অক্সালিক অ্যাসিড। শরীরে এই যৌগের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তা দেহের অন্যান্য খনিজ শোষণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে শরীরে খনিজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

রক্ত তরল করার ওষুধের সঙ্গে ক্রিয়া-- যাঁরা নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের বেশি পালং শাক খাওয়া উচিৎ নয়। পালং শাকে থাকা ভিটামিন কে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ফলে কেউ যদি রক্ত তরল করার ওষুধ খান, তবে সেই ওষুধের কাজে বাধা পড়তে পারে।

থাইরয়েড-- থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও বেশি কাঁচা বা আধ সেদ্ধ পালং শাক খাবেন না। এই শাকে রয়েছে গয়েট্রোজেনস, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।