#মুম্বই: রবিবার Network18-এর সঞ্জীবনী প্রচার যাত্রার (Network18's Sanjeevani Campaign) সমাপ্তি হল রবিবার। ভারতে করোনা টিকাকরণের সময় যে অসামান্য সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসক থেকে প্রতিটি বর্গের মানুষ, তা নিয়েই আলোচনা হল এই প্রচার যাত্রার শেষ লগ্নে। এ দিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা, জর্জ আইকারা ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বই স্ট্যানলি প্লটকিন, উইস্টারের ভ্যাকসিনোলজিস্ট, ভারতে হু-এর প্রতিনিধি রডরিকো এইচ অরফিন, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, রাজস্থানের শচীন পাইলট, নীরজ চোপড়া, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত, অদ্বৈত কোলারকর, শিল্পী, ভরে আপ্পা রাও, এইচসিএল এর প্রধান মানবসম্পদ আধিকারিক, মহোনদাস পাই, মনিপাল গ্লোবাল এডুকেশন, অতুল সতিজা, গিভ ইন্ডিয়ার সিইও, ডক্টর কৃষ্ণ এল্লা, ভার বায়োটেকের এমডি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাখন ও সুরকার ও গায়ক শঙ্কর মহাদেবন।
ন'মাস দীর্ঘ এই করোনা টিকাকরণ প্রচার অভিযান, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে তৈরি হওয়ায় সমস্ত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব, ও ভুল ধারণা দূর করতে অনেকটা কাজ করেছে। পাশাপাশি খুঁজে বার করেছে সমস্যার জায়গাগুলি, দেশের যে ন'টি জেলায় সংক্রমণ বেশি, সেগুলিতেও টিকাকরণ চালানোর কথা বলেছে এই অনুষ্ঠান। ফেডেরাল ব্যাঙ্কের সিএসআর প্রচারের অংশ হিসাবে এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যই ছিল দেশের মানুষের কাছে করোনার টিকা নিয়ে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। স্বেচ্ছাসবক যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা কর্মীরা 'সঞ্জীবনীর গাড়ি' নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন এলাকায়, টিকা নিয়ে সচেতন করেছেন সাধারণ গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: 'রোগক্লিষ্ট শহরটার সেবা শুশ্রূষা অনেকটা হয়েছে', পুরভোটের মুখে জাগোবাংলায় লিখলেন জয় গোস্বামী
সঞ্জীবনী গাড়ির বিষয়ে বলতে গিয়ে ফেডেরাল ব্যাঙ্কের ইডি আশুতোষ খাজুরিয়া বলেছেন, "টিকাকরণ নিয়ে নানারকম ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে ছিল। পাঁচটি জেলা ঠিক করে নিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পেরেছি। আমি ধন্যবাদ জানাই আশা কর্মীদের যাঁরা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন।" এমন বৃহৎ টেলিথন বিষয়ে ইউনাইটেড ওয়ে মুম্বইয়ের সিইও জর্জ আইকারা বলেন, "প্রাথমিক ভাবে টিকা নেওয়ার বিষয়ে সাধারণ মানুষের একটা অনীহা ছিল। তার পর গ্রামের সরপঞ্চ অর্থাৎ প্রধান, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী, আশা কর্মী ও গোষ্ঠীর সাহায্যে তাঁদের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা তাঁর টিকা প্রস্তুতির শুরুর সময় থেকে দীর্ঘ যাত্রার কথা এই সভায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালে প্রথমে অক্সফোর্ড ও পরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে টিকা প্রস্তুতির শুরুর সময় থেকে বর্তমান, অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমাদের এই অবস্থায় আসতে হয়েছে।" সঞ্জীবনীর মঞ্চ থেকে এ দিন প্রয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী এবং ১১ জন বীর ভারতীয় সেনার প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতা পালিত হয়।
আরও পড়ুন:'কলকাতার ১০ দিগন্ত'-তে তৃণমূল, তিলোত্তমার ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
ভারত বায়োটেকের এমডি কৃষ্ণা এলা বলেন, "ওমিক্রন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই ধরনের ভাইরাস মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে যায়। তবে এত মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের শক্তি কমে যায়। যা মানুষের পক্ষে ভাল।" কোভিড পরিস্থিতিতে টোকিও অলিম্পিকে যাওয়া, যাওয়ার আগে টিকা নেওয়া, তার মধ্যেই প্রশিক্ষণ চালানো, এসব নিয়ে কথা বলেন নীরজ চোপড়া। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, "যাঁরা টিকা পাননি আমাদের তাঁদের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। শিশু ও যুবক-যুবতীদের মধ্যে ভারতে টিকা নেওয়ার ইচ্ছার অভাব দেখা দিচ্ছে।"
এ দিনে অনুষ্ঠানে Mahantesh Kivadasannavar, আদিত্য ঠাকরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোভিড যোদ্ধা, আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sanjeevani