চারদিন ধরে খাবার বলতে শুধু জল ! বাড়ি ফিরতে চেয়ে এবার বান্দ্রার পর সুরাটে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের !
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছে না। চারদিন ধরে শুধু জল খেয়ে আছে।
#সুরাট: বান্দ্রার পর এবার সুরাটে। ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছেন। তারা কেউ ফিরতে পারেননি বাড়ি ! সরকার থেকে বুঝিয়ে যে যেখানে আটকে আছে তাকে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সব রাজ্যের বর্ডার সিল করা হয়েছিল। প্রথম দফার লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ ১৪ এপ্রিল। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই লকডাউন বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করেছেন।
এতে শ্রমিকদের মনে ১৪ তারিখের পর বাড়ি ফেরার যে ক্ষীণ আশা বেঁচে ছিল, তাতেও জল ঢেলে যায়। স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার পৌঁছে দেওয়া খাবারে কোনওরকম দিন কাটছিল শ্রমিকদের। ঠিক মতো খাবার তো ছিলই না ! ছিল না সঠিক পরিষেবা ! আজ লকডাউন বাড়ানোয় গুজরাতের সুরাটের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে এসে আটকে পড়ে তারা। এই লকডাউনের মধ্যেই তারা নিজের বাড়িতে ফিরতে চায় ! এই দাবি নিয়ে পথে নামে তারা।
advertisement
রাস্তায় নেমে শ্রমিকরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছে না। চারদিন ধরে শুধু জল খেয়ে আছে। এভাবে থাকলে করোনায় তাদের মৃত্যু হবে কিনা তারা জানে না ! কিন্তু না খেতে পেয়ে তারা অবশ্যই মারা যাবে। সুরাটে ইউপি, বিহার, রাজস্থান সহ আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে শ্রমিকরা কাজে আসে। তাদের এখন একটাই দাবি তারা দেশে ফিরতে চায়।
advertisement
advertisement
গুজরাতের ডিজিপি এই আশঙ্কা করেই চিঠি লিখেছিলেন হোম মিনিস্টারকে। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, "যে শ্রমিকরা লকডাউন খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। লকডাউন না উঠলে তারা বিদ্রোহ করতে পারে। এমনকি তাদের জন্য সঠিক খাবারের ব্যবস্থা নেই এ কথাও জানিয়েছিলেন। এমনটাই জানান ডিজিপি ! তবে শ্রমিকদের এভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন কতটা সঠিক লকডাউনের পক্ষে ? তাদের জন্য সঠিক ব্যবস্থাই বা নেই কেন ? এসবই এখন প্রশ্নের মুখে !
advertisement
এই ঘটনার পর গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক হর্ষ সাঙভি তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে সুরাটের ফাকা রাস্তার ছবি শেয়ার করে বলেন, " আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। যারা এখানে আটকে আছে সবাই আমাদের ভাই বোনের মতো । এখন সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে এখানে। আমরা তাদের খাবার থেকে সব কিছুর ব্যবস্থা করছি। সুরাট তাদের আর একটা বাড়ি।" কিন্তু শ্রমিকদের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
advertisement
We are putting all our efforts to help them. Every person stuck in Surat because of lockdown is like our own brother and sister. Things are sorted and clear here. Our administration is working round the clock to ensure best of everything for them.
"Surat" is like a home to them pic.twitter.com/jT0Gdn4CNh — Harsh Sanghavi (@sanghaviharsh) April 14, 2020
advertisement
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
April 14, 2020 9:30 PM IST