Mysterious Death: ব্রতপালনে ‘বাধা’, হতাশায় ‘চরম সিদ্ধান্ত’ ২ মেয়ের মায়ের...মুহূর্তে চুরমার সংসার

Last Updated:

Mysterious Death:এর ফলে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা প্রিয়াংশা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, ব্রতপালন করতে না পেরে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
ঝাঁসি: ৩৬ বছর বয়সি প্রিয়াংশা সোনি চৈত্র নবরাত্রি উদযাপন এবং দেবী দুর্গার পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ন’ দিনের উৎসব শুরু হওয়ার একদিন আগে, তিনি তাঁর স্বামী মুকেশ সোনিকে পূজার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে বলেছিলেন। ফুল, ফল, মিষ্টি, প্রদীপ এবং শস্য – দেবীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। তবে, ৩০ মার্চ, নবরাত্রির প্রথম দিন, শ্রীমতি সোনির ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তিনি প্রার্থনা করতে পারেননি। প্রচলিত সংস্কার অনুযায়ী মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় প্রার্থনা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই সময়কালটি অপবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা প্রিয়াংশা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, ব্রতপালন করতে না পেরে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
“প্রিয়াংশা এক বছর ধরে নবরাত্রির জন্য অপেক্ষা করেছিল এবং যখন সময় এসেছিল, তখন তিনি ঋতুস্রাবের কারণে উপবাস বা দেবীর পূজা করতে পারেনি,” বলেন তাঁর স্বামী।” কীভাবে সবকিছু ঘটবে এবং কে তাঁর পরিবর্তে প্রার্থনা করবে তা নিয়ে সে চিন্তিত ছিল। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার এবং যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, ব্যাখ্যা করেছিলাম যে ঋতুস্রাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সে আমার যুক্তি গ্রহণ করতে পারেনি। আমি তার পক্ষ থেকে সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু সে খুবই হতাশ হয়ে পড়ে” তিনি আরও বলেন।
advertisement
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে স্বামী কাজে যাওয়ার পরপরই, প্রিয়াংশা কাঁদতে শুরু করেন। স্বামী তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে, দ্বিতীয়বার তিনি চলে যাওয়ার পর, প্রিয়াংশা বিষ খান বলে অভিযোগ। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামীকে প্রিয়াংশা বলেন তিনি ভুল করে ফেলেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রিয়াংশার স্বামী আশা করেছিলেন যে জায়গা পরিবর্তন করলে স্ত্রীর হয়তো ভাল লাগবে। কিন্তু প্রিয়াংশার শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হওয়ায় তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : ‘তুমি আমাকে নিতে এলে না তো, তুমি কথা দিয়েছিলে…’ কফিনবন্দি হবু স্বামীর শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটের বাগদত্তা
প্রিয়াংশার স্বামী পুলিশকে জানান, ‘‘রাত আড়াইটে নাগাদ আমার স্ত্রীর বমি বমি ভাব হয়৷ ঋতুস্রাবের কারণে ব্যথার অভিযোগ করে সে। আমি তাকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। পরের দিন, দুপুর দেড়টার দিকে, সে আমাকে কিছু খেতে যাওয়ার জন্য বলে। তখন আমি বললাম যে আমার খিদে নেই৷ তাকে হাসপাতালে একা রেখে যেতে অসম্মত হই৷ তখন সে আমাকে আমাদের দু’জনের জন্য ফলের রস আনতে বলল। আমি যখন ফিরে আসি, তখন তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয় এবং ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে সে মারা যায়।’’ স্বামীর সঙ্গে দুই মেয়ে, ৩ বছর বয়সি জাহ্নবী এবং ২ বছরের মান্ববীকে রেখে গিয়েছেন প্রিয়াংশা৷
advertisement
তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সার্কেল অফিসার সিটি স্নেহা তিওয়ারি আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত অব্যাহত থাকায় আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
If you or someone you know needs help, call any of these helplines: Aasra (Mumbai) 022-27546669, Sneha (Chennai) 044-24640050, Sumaitri (Delhi) 011-23389090, Cooj (Goa) 0832- 2252525, Jeevan (Jamshedpur) 065-76453841, Pratheeksha (Kochi) 048-42448830, Maithri (Kochi) 0484-2540530, Roshni (Hyderabad) 040-66202000, Lifeline 033-64643267 (Kolkata)
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Mysterious Death: ব্রতপালনে ‘বাধা’, হতাশায় ‘চরম সিদ্ধান্ত’ ২ মেয়ের মায়ের...মুহূর্তে চুরমার সংসার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement