Soil-Less Farming: মাটি ছাড়াই ফলবে ফসল, লাগবে না জলও! আবিষ্কারে তাক লাগালেন দুই পড়ুয়া

Last Updated:

এই চাষে সাধারণ চাষের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম জল লাগে । মাটির প্রয়োজন হয় না । বীজ থেকে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে মাত্র ৮ দিন । ০.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে মাসে ।

#নয়াদিল্লি: আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর । দেশের সিংহভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত । দেশের বার্ষিক আয়ের একটা বড় ভাগই আসে কৃষিকাজ থেকে । তবু আজ পর্যন্ত দেশের কৃষি ব্যবস্থা পুরনো পন্থার উপরেই নির্ভরশীল । কৃষিকাজকে উন্নত করার বা আধুনিক উপায় কাজে লাগানোর তেমন কোনও চেষ্টা আজও এ দেশে দেখতে পাওয়া যায় না । স্মার্ট ফার্মিং নয়, বরং চাষাবাদের চিরাচরিত রীতি মেনে চলতেই অধিক আগ্রহ এ দেশের চাষী থেকে সরকার, সকলেই । তবে সত্যিই যদি পশ্চিমের উন্নত দেশগুলির মতো অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় চাষ করা হত, তা হলে হয়তো এ দেশে চাষীভাইদের আজও এত দুর্দশায়, দারিদ্র্যে দিন কাটাতে হত না ।
তবে আজকাল ধীরে ধীরে সময় বদলাচ্ছে । মানুষের মানসিকতা বদলাচ্ছে । বিজ্ঞানের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে চিন্তাধারার বদলও ঘটছে । তার প্রভাব পড়ছে কৃষিকাজেও । আমাদের দেশে চাষের অন্যতম মূল সমস্যা হল সেচ কাজ । দেশের অনেক রাজ্যেই জলের অপ্রতুলতার কারণে উন্নতমানের সেচের প্রয়োজন হয়, নতুবা বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করতে হয় । ফলে ফলন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । কিন্তু যদি এমন হতো, যে চাষের জন্য প্রায় ৯৫ শতাংশ কম জলের প্রয়োজন হত । মাটি প্রায় লাগত না বললেই চলে । তা হলে কিন্তু অনেক অনিশ্চয়তার সমাধান হয়ে যেত সহজেই । চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জুড়ে রয়েছে গবাদি পশুরা । কৃষিকাজে তাদের অবদান অনস্বীকার্য । তাদের সঠিক দেখভাল করা, তাদের খাদ্যের জোগান দেওয়াও কিন্তু কৃষকভাইদের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে । তাই গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদনে সাড়া ফেলে দেওয়া এক পদ্ধত আবিষ্কার করে তাক লাগালেন দুই পড়ুয়া ।
advertisement
advertisement
যেমন সম্প্রতি দুই পড়ুয়া গবেষক বানিয়ে ফেলেছেন মাটি হীন, জল হীন চাষের পদ্ধতি । নয়াদিল্লির TERI School of Advanced Studies-এর এই দুই পড়ুয়ার নাম সৌরদীপ বসাক এবং লভকেশ বালচন্দানী । সম্প্রতি তাঁদের এই আবিষ্কারের জন্য Grand Final of the Efficiency for Access Design Challenge-এ ব্রোঞ্জ পদকও জিতেছেন তাঁরা । তাঁদের আবিষ্কার সৌরশক্তি চালিত হাইড্রোফোনিক ফুডার ইউনিট । যার মাধ্যমে মাটি ছাড়াই সবুজ, সতেজ, পুষ্টিসমৃদ্ধ ঘাস তৈরি হতে পারে ।
advertisement
পিডব্লউসি-তে কাজ করতে সৌরদীপ । সেই কাজ ছেড়ে দেন তিনি । অন্যদিকে, লভকেশ আগে পড়াশোনা করতেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে । স্ট্রিম পরিবর্তন করে তিনি রি-নিউএবল এনার্জি নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেন । তাঁর পছন্দের বিষয় ছিল ক্লাইমেট চেঞ্জ ও এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস ।
advertisement
এ ভাবেই তাঁরা হাইড্রোফোনিক ফুডার ইউনিট বানিয়ে ফেলেন । যাতে সাধারণ চাষের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম জল লাগে । মাটির প্রয়োজন হয় না । বীজ থেকে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে মাত্র ৮ দিন । ০.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে মাসে । সৌরদীপ ও লভকেশ বলছেন, শুধু ২০১৯ সালেই আমাদের দেশে ১০ হাজারের বেশি চাষী মারা গিয়েছেন । ফলন না হওয়া, নষ্ট হওয়া, বাজারে বিপুল দেনা, এ গুলিই তার পিছনের কারণ । দেশের নিরিখে দেখতে গেলে ৩২ শতাংশ গবাদি পশুর খাদ্য ভারতে এখনও চাহিদার তুলনায় জোগান কম রয়েছে । ফলে কম খরচে যে কেউ এই পদ্ধতি চাষ করতে পারেন । গবেষকদ্বয় জানাচ্ছেন, তাঁদের তৈরি এই ইউনিট বসাতে খরচ বেশ কম । ৫০ কেজি ফসল উৎপাদন করতে পারে এমন ইউনিট বসাতে খরচ হবে সাড়ে ৭ হাজার ।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Soil-Less Farming: মাটি ছাড়াই ফলবে ফসল, লাগবে না জলও! আবিষ্কারে তাক লাগালেন দুই পড়ুয়া
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement