#গোরক্ষপুর: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মানুষের জীবন 'স্ক্রলিং আর ট্রোলিং'-এর মধ্যেই আটকে পড়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন ট্রোলিং এর ঘটনা উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি গোরক্ষপুরের পুলিশদের নিয়ে উপহাস শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
রবিবার ট্যুইটার হ্যান্ডলে গোরক্ষপুরের একজন পুলিশ কনস্টেবল নিজের এবং অভিযুক্তের মুখে ফোটোশপ করে মাস্ক বসান। হয়তো ভেবেছিলেন কারও চোখে পড়বে না। কিন্তু এই কাণ্ড চোখ এড়ায়নি নেটিজেনদের। সেই নিয়েই একের পর এক ব্যাঙ্গাত্মক কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় টুইটারে। ওই পুলিশকর্মীকে নেটবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয়। তার কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য তিনি ডিলিট করে দেন পোস্টটি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশকর্মী এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। প্রথমে সেই ছবিতে দুজনের কারোর মুখে মাস্ক ছিলনা। তারপরে হঠাৎই তাঁদের মুখে বসে যায় আকাশি রঙের সার্জিকাল মাস্ক। এও কি সম্ভব! ফোটোশপের মাধ্যমেই এই কাজ সম্ভব করেছিলেন পুলিশকর্মী। তবে নেটিজেনদের চোখ মোটেই তিনি এড়াতে পারেননি।
করোনা অতিমারীর পরিস্থিতিতে এই ঘটনা সকলেরই নজর কেড়েছে। কোভিড১৯-এর কারণে সামাজিক দূরত্ব এবং মুখে মাস্ক পরা যেখানে বাধ্যতামূলক, সেখানে পুলিশ যদি নিজে মাস্ক না পরেন, তাহলে অন্যান্য নাগরিক নিয়ম মানতে নারাজ হবেন। উত্তরপ্রদেশে মাস্ক না পরার জন্য মানুষকে পাঁচশো টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার সময় একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেছিলেন যে, এই বিষয়টিকে তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোরক্ষপুরের জেলা পুলিশ কমিশনার জগেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, "ওই কনস্টেবলের এমন কাজ করা উচিত হয়নি কখওনই। মাস্ক না পরায় ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ছবি ফোটোশপ করাতে, ব্যাপারটি আরও খারাপ পর্যায় চলে গিয়েছে। ঘটনাটি জানার পরে আমি ওই কনস্টেবলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি স্বীকার করেছেন কাজটি ভুল। আমরা দেখছি এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়"।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।