#নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সহ আরও বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় #FarmerProtest ব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। আর তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুমুলে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে তাই নড়েচড়ে বসল বিদেশমন্ত্রক। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশমন্ত্র রীতিমতো কড়া ভাষায় জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝাপড়া তৈরি করে এবং সবকিছু যাচাই করেই মন্তব্য করা উচিত। কারণ সেলেব্রিটিদের দ্বারা চাঞ্চল্যকর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও হ্যাশট্যাগ দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করা মোটেই দায়িত্বপূর্ণ ও কাজ নয়। এতে ভুল বার্তা ছড়াবে।
কেন্দ্রের দাবি, "দেশের সমস্ত কৃষকদের মধ্যে মাত্র অল্প শতাংশ কৃষকই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে এই আন্দোলন ভারতের গণতান্ত্রিক নীতির প্রেক্ষাপটে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।"
রীতিমতো হুঁশিয়ারির ভঙ্গিতে বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, "এমন বিষয়ে মন্তব্য করার আগে আমরা সমস্তটা ভালো করে জেনে ও বুঝে নেওয়ার অনুরোধ করছি। কারণ সেলেব্রিটিরা এই ধরনের চাঞ্চল্যকর হ্যাশট্যাগ ও পোস্ট করলে সেটা ভুল বার্তা দেয় এবং যা মোটেই দায়িত্বপূর্ণ কাজ নয়।"
এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, বহু আলোচনার পরে পাশ হয়েছে এই তিন আইন। কিন্তু কিছু সংখ্যক কৃষক সেই আইন মানতে রাজি নন। আর তার জন্য আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু কিছু সংগঠন নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে।
তবে রিহানা ও গ্রেটাদের টুইটের পরে এমন তড়িঘড়ি বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি জারি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে কৃষক আন্দোলন আন্তর্জাতিকর ক্ষেত্রে পৌঁছে যাওয়ায় কি চাপে পড়েছে কেন্দ্র।