ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, বন্যা পরিস্থিতিতে এক নজরে পশ্চিম মেদিনীপুর

Last Updated:

কোথাও অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে, কোথাও পাকা বাড়ির ছাদে ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাজ্য সড়ক থেকে জল কমায় গত মঙ্গলবার থেকে মেদিনীপুর ও পাঁশকুড়ার সঙ্গে বাস যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘাটালের ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ও ঘাটাল পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ডে এখনো জল জমে রয়েছে। এসব এলাকার ভৌগোলিক আকৃতি অনেকটা গামলার মতো হওয়ায় জল ঢুকলে বেরোতে সময় লাগে।
কোথাও অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে, কোথাও পাকা বাড়ির ছাদে ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ঘাটাল বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ে পরিশ্রুত পানীয় জলের পাউচ তৈরির মেশিন বসানো হয়েছে। সেখান থেকে দূরের গ্রাম গুলিতে পানীয় জলের পাউচ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যার জমা জল ফুটিয়ে খেতেও দেখা গেছে কোথাও কোথাও।
advertisement
advertisement
পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে। অপরদিকে ঘাটাল নিয়ে বারে বারে বৈঠক সারছেন জেলার ৪ মন্ত্রী। সম্প্রতি গতকাল ঘাটাল নিয়েও বৈঠক করেছেন এবং পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রেখেছেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূইয়া সহ আরও তিন মন্ত্রী।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘাটাল পরিদর্শনের জন্য আশার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তার হেলিকপ্টারে পরিদর্শন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
advertisement
অপরদিকে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব বুধবার এলেন ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে। এদিন তিনি বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেন বন্যাদুর্গত মানুষের সঙ্গে। শুকনো খাবারও বিলি করেন এবং মানুষকে আশ্বস্ত করেন সাহায্য করার, পাশে থাকার।
অন্যদিকে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে জেলা জুড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যার জেরে মঙ্গলবার রাত্রি পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী সাপের কামড়ে এবং দেওয়াল চাপা পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, তার প্রস্তুতিও চলছে। জেলা প্রশাসন সুত্রে আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ২১টি ব্লক, ৭ টি পুরসভার অন্তর্গত ২০৯টি এলাকায় জল ঢুকেছে। বন্যার ফলে এফেক্টটেড হয়েছে ৪০৪৬১৩ জন, সম্পুর্ন ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীর সংখ্যা ১৮৪৫৯টি। জেলায় ১০৬টি ত্রাণ শিবিরে ৬৫৫৩ জন আশ্রয়ে রয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে ৬৪৭৭০ জনকে। নৌকা ও স্পিডবোট নামানো হয়েছে ১২৭টি।
advertisement
এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৭৭ হাজার হেক্টর চাষ যোগ্য জমি জলের তলায়। তার মধ্যে ধান জমি প্রায় ৭২ হাজার হেক্টর, ৩০০ হেক্টর পাট, বাকি ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি রয়েছে বিভিন্ন ফসলের।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, বন্যা পরিস্থিতিতে এক নজরে পশ্চিম মেদিনীপুর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement