‘নেতৃত্বহীন প্রতিবাদ, জনতার লুঠপাঠ, নিস্ক্রিয় পুলিশ, অশান্ত রোহতাক’, লিখছেন দীপক

Last Updated:

এখানেই জন্মেছি আমি ৷ ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি ৷ দিল্লি এখান থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে ৷ তবুও ভালো চাকরির জন্য এই সুন্দর শহর ছেড়ে যাইনি ৷ জীবনটা সবসময়ই বড্ড সুন্দর এই শহরে ৷ অল্প-আধটু সমস্যা থাকলেও, রোহতাক এমনিতে খুবই শান্ত শহর ৷

(লেখক নিজের পুরো নাম প্রকাশ্যে আনতে চান না ৷ তিনি রোহতাকে নিজের ঘরেই বন্দি ৷ রোহতাকে ঝাঁঝার রোডে দীপকের বাড়ি )
#রোহতাক: এখানেই জন্মেছি আমি ৷ ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি ৷ দিল্লি এখান থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে ৷ তবুও ভালো চাকরির জন্য এই সুন্দর শহর ছেড়ে যাইনি ৷ জীবনটা সবসময়ই বড্ড সুন্দর এই শহরে ৷ অল্প-আধটু সমস্যা থাকলেও, রোহতাক এমনিতে খুবই শান্ত শহর ৷
কিন্তু সেই শান্তি ভেঙে জাঠ সংরক্ষণের নামে যে প্রতিবাদ হচ্ছে তা ভয়াবহ ৷ কোনও দিন রোহতকের এরকম ছবি দেখেনি ৷ বড্ড অশান্ত গোটা রোহতাক ৷ পুরনো বাজার এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপ ৷ নতুন শপিং মল, বিল্ডিং, হোটেল, স্কুল, কলেজ যা বিএস হুডার শাসনকালে তৈরি হয়েছিল, তা সবই নষ্ট হয়েছে উত্যক্ত জনতার হাতে ৷
advertisement
advertisement
এই প্রতিবাদ একেবারেই নেতৃত্বহীন ৷ জাঠ সংরক্ষণের এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে কিছু সংখ্যক অপরাধী, কিছু বেকার যুবক ৷ যারা প্রতিবাদের মোড়কে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে গোটা রোহতাক জুড়ে ৷
মুখ্যমন্ত্রী এমএল খট্টরের বিজেপি সরকার একেবারে নিস্স্ক্রিয় ৷ সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তিনি ৷ আইনশৃঙ্খলা একেবারেই বিপর্যস্ত ৷ পুলিশ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেই ব্যস্ত ৷ বেশিরভাগ থানাতেই ঝুলছে তালা, কিছু থানায় চলেছে ভাঙচুড় ৷
advertisement
আমি আর আমার প্রতিবেশিরা গৃহবন্দি ৷ বাড়ির মেয়ে-বাচ্চারা ভীত হয়ে পড়েছে ৷ টানা পাঁচদিন ধরে জল নেই ঘরে, রেশন নেই ৷ নেই ওষুধ ৷ বহুবার বাড়ির থেকে বেরিয়ে দরকারি জিনিয়পত্র কেনার চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফিরেছি ৷ বাইরের অবস্থা খুবই খারাপ ৷ গোটা রোহতাক অশান্ত ৷ জ্বলছে আগুন ৷
advertisement
সরকারী খাতায় নিহতের সংখ্যা ৫ কিংবা ৬ ৷ কিন্তু বাস্তবচিত্রটা ভয়ানক ৷ মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন ৷
সেনাবাহিনীরা তো রোহতা টাউন থেকে গ্রামের দিকে ঢুকতেই পারছে না ৷ সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ ৷ সেনাবাহিনীর কাছে রোহতাকের ভৌগলিক অবস্থান অজানা ৷ সমস্যা তাই বাড়ছে আরও ৷
ঘরের জানলা দিয়েই দেখতে পারছি, শহরের চারিপাশে জ্বলছে আগুন ৷ কালো ধুয়োয় ঢেকে গিয়েছে আমার রোহতাক ৷ আমার এক ব্যবসায়ী বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম, প্রায় কোটি টাকা নগদ লুঠ করেছে কিছু প্রতিবাদীর মোড়কে থাকা কিছু উত্যক্ত মানুষ ৷ জাঠ সম্প্রদ্বায়ের নেতৃত্বদের এখনই বন্ধ করা উচিত এই প্রতিবাদ ৷ তাহলে যদি অশান্তির চিত্রটা বদলে যায় ৷ কারণ, প্রতিবাদীর মোড়কে থাকা যে মানুষগুলো সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে জাঠ সংরক্ষণের কোনও যোগাযোগই নেই ৷
advertisement
এলাকার দায়িত্বে থাকা সরকারী নেতা ফোন ধরছেন না আমাদের ৷ উত্যক্ত জনতাকে আটকানোর জন্য কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছেন না ৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এমএল খট্টর, হাতেহাত দিয়ে বসে আছেন ৷ এই বিশৃঙ্খলার জন্য তিনিই দায়ী ৷ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ ও অক্ষম মানুষের মতো আচরণ করছেন ৷
এই বিশৃঙ্খলা যদি আরও কিছুদিন চলতে থাকে তাহলে রোহতাক একেবারে স্তব্দ হয়ে যাবে৷ আমি সত্যিই দিল্লিতে চলে যাওয়ার কথা ভবাছি ৷ রোহতাকের অশান্তি থেমে গেলেও, শহর পুরনো ছন্দে ফিরতে অন্তত দু’মাস লাগবে ৷ আমার মনে হয়, এরকম উত্তপ্ত শহরের ছবি রোহতাকের মানুষ আগে দেখেনি ৷
advertisement
কোথায় সরকার ? রোহতাকের অশান্তির জন্য কি আমরাই দায়ী ? আমাদের কাছে না আছে উত্তর, না আছে আশা !
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
‘নেতৃত্বহীন প্রতিবাদ, জনতার লুঠপাঠ, নিস্ক্রিয় পুলিশ, অশান্ত রোহতাক’, লিখছেন দীপক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement