করোনা ত্রাস উপেক্ষা করে, রোজার উপবাস রেখে পুরোহিতের শেষযাত্রায় কাঁধ দিলেন মুসলিমরা
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
লকডাউনের মধ্যেই মারা যান ৬৮ বছরের রমেশ মাথুর। তিনি এলাকারই একটি মন্দিরে পৌরোহিত্য করতেন। তাঁর দেহ নিয়ে শ্মশানে পৌঁছল মুসলিম যুবকরা।
#মীরাটঃ এ এক অন্য সকাল দেখল শহর। যেখানে হিংসা, হানাহানি নেই। হিন্দু মুসলমানে দাঙ্গা নেই। আছে শুধুই সম্প্রীতি। লকডাউনের শহরে মারা যান ৬৮ বছরের রমেশ মাথুর। তিনি এলাকারই একটি মন্দিরে পৌরোহিত্য করতেন। কর্মসূত্রে দিল্লিতে বড় ছেলে। লকডাউনে আসতে পারেননি বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়েও। একছেলে বাবার সঙ্গে থাকলে তাঁর পক্ষে একা সব কাজ করা সম্ভব নয়। তাই রোজার উপবাস রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা। জয় হল মানবতার।
বুধবারের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মীরাটের এই সম্প্রীতির ছবি। জানা গিয়েছে, মীরাটের মুসলিম অধ্যুষিত শাহপীর গেটে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন রমেশ। তাঁর ছেলে চন্দ্রমৌলি মাথুর জানিয়েছেন, 'বাবার খাদ্যনালীতে টিউমার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা চলছিল। মঙ্গলবার মারা যান। দাদা দিল্লিতে থাকায় লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি। লকডাউনে কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।' সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে এদিন।
advertisement
শাহপীর গেটের কাউন্সিলর মহম্মদ মোবিন জানিয়েছেন, 'এখন এমন একটা সময়, যখন আমাদের সবার পাশে দাঁড়ানো উচিত। মানবতার পরিচয় দেওয়া উচিত। মুসলিমরা রোজার উপোষ সত্ত্বেও করোনার ভয়কে দূরে সরিয়ে পুরোহিতের পরিবারের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি খুব খুশি।' এলাকারই এক বাসিন্দা কৃতি ভূষণ বলেন, "শুধু আমরাই নয়, আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে এভাবেই স্কসঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। আমাদের এই সংস্কৃতি ১০০ বছরের।"
advertisement
Location :
First Published :
April 30, 2020 8:47 PM IST