হোম /খবর /দেশ /
মেহুল চোকসি ভারতীয় নাগরিক, স্বীকার করলেন ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রীও

Mehul Choksi: মেহুল চোকসি ভারতীয় নাগরিক, স্বীকার করলেন ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রীও

মেহুল চোকসি৷

মেহুল চোকসি৷

  • Last Updated :
  • Share this:

#রোহজো: মেহুল চোকসি ভারতীয় নাগরিক৷ স্বীকার করে নিলেন ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কিরিট৷ তবে পলাতক হিরে ব্যবসায়ীকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী৷ বেআইনি ভাবে ডমিনিকায় প্রবেশের অভিযোগে এই মুহূর্তে ডমিনিকা হাইকোর্টে বিচার চলছে চোকসির৷ যদিও তাঁর ভারতে প্রত্যপর্ণের বিষয়টির উপরে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত৷ ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিপুুল অঙ্কের ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত চোকসি৷

ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, মেহুল চোকসির যাবতীয় অধিকার তাঁর দেশে সুরক্ষিতই থাকবে৷ আদালত যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন তাঁরা৷ লুপ জামাইকা নিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'সংশ্লিষ্ট ভারতীয় নাগরিকের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে৷ আদালতেই তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে৷ ভারতে বা অ্যান্টিগায় কী হয়েছে, আমরা তা নিয়ে আমরা আগ্রহী নই৷ আমরা নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সঠিক ভাবে পালন করব৷'

ভারত থেকে পালিয়ে অ্যান্টিগায় গা ঢাকা দেন চোকসি৷ সেদেশের নাগরিকত্বও গ্রহণ করেন৷ কিন্তু গত ২৩ মে নৈশভোজে বেরিয়ে আচমকাই গায়েব হয়ে যান তিনি৷ এর পরে ডমিনিকা পুলিশের হাতে তিনি ধরা পড়েন৷ মনে করা হচ্ছে, ডমিনিকা হয়ে কিউবায় পালানোর ফন্দি এঁটেছিলেন চোকসি৷ কিন্তু তাঁর আইনজীবী এবং পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, চোকসিকে অপহরণ করে ডমিনিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

চোকসি ডমিনিকায় ধরা পড়তেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার আশায় ভারত থেকে একটি বিশেষ দল সেদেশে পৌঁছয়৷ সিবিআই, ইডি, বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা ওই দলে ছিলেন৷ যদিও মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় সেই দলটি ইতিমধ্যে দেশে ফিরেও এসেছে৷ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসি এবং তাঁর আত্মীয় নীরব মোদি৷

৬২ বছর বয়সি চোকসি কীভাবে ডমিনিকায় পৌঁছলেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা রকম সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে৷ এরই মধ্যে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট টাইমস কয়েকদিন আগে চাঞ্চল্যকর দাবি করে জানায়, চোকসি ধরা পড়ার পর তাঁর দাদা চেতন চিনুভাই চোকসি গিয়ে ডমিনিকার বিরোধী দলনেতা লেনক্স লিন্টনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন৷ সেখানে প্রায় দু' ঘণ্টা ছিলেন তিনি৷ ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনী খরচ জোগানোর বিনিময়ে ডমিনিকার পার্লামেন্টে চোকসির হয়ে সেদেশের সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্য লিন্টনকে অনুরোধ করেন চিনুভাই চোকসি৷ যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস পাঠিয়েছে চোকসির পরিবার৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Mehul Choksi