যেটার ভয় ছিল, ঠিক সেটাই ঘটল দিল্লিবাসীদের সঙ্গে; লক্ষ লক্ষ মানুষকে দিতে হচ্ছে মাসুল, প্রায় ৪৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি সাধারণ মানুষের

Last Updated:

Delhi Traffic News: দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের সমস্ত প্রয়াস সত্ত্বেও ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার লক্ষ লক্ষ ঘটনা প্রতি বছর সামনে আসতে থাকে। এর জন্য বড়সড় মাসুল দিতে হয় দিল্লিবাসীদের।

 প্রায় ৪৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি সাধারণ মানুষের (Representative Image)
প্রায় ৪৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি সাধারণ মানুষের (Representative Image)
নয়াদিল্লি: দেশের রাজধানী হওয়ায় দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত জোরালো। তাই ট্র্যাফিকের উপরেও থাকে বিশেষ নজরদারি, যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়। ট্র্যাফিক নিয়ম নিয়ে সচেতনতা অভিযানও চালানো হয়। বলে রাখা ভাল যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতের নাম সর্বাগ্রে থাকে। দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের সমস্ত প্রয়াস সত্ত্বেও ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার লক্ষ লক্ষ ঘটনা প্রতি বছর সামনে আসতে থাকে। এর জন্য বড়সড় মাসুল দিতে হয় দিল্লিবাসীদের। এমনকী, ২০২৪ সালেও দিল্লিবাসীদের কোটি কোটি টাকা দিতে হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার লোকসভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার দিল্লি ট্র্যাফিক লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয়ে লোকসভায় বড়সড় তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, ২০২৪ সালে ৭৪ লক্ষেরও বেশি চালান এবং নোটিস জারি করে ৪৬ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছে দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ। একাধিক ক্যাটাগরিতে ট্র্যাফিক উল্লঙ্ঘন নিয়ে লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে, ২০২৪ সালে দিল্লি পুলিশ একাধিক অপরাধের আওতায় ট্র্যাফিক লঙ্ঘনের জন্য ৫১.৪১ লক্ষ নোটিস এবং ২৩.০৯ লক্ষ চালান জারি করা হয়েছিল। আর লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে প্রায় ৪৬.২৯ কোটি টাকা আদায়ও করেছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
advertisement
advertisement
চালান এবং নোটিসের পার্থক্য:
দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের বক্তব্য, ঘটনাস্থলেই চালান জারি করেন ট্র্যাফিক আধিকারিক। আর ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ট্র্যাফিক লঙ্ঘনের জেরে অনলাইনে পাঠানো হয় নোটিস। বিগত পাঁচ বছরের হিসেব বলছে, ২০২০ সালে সবথেকে বেশি ২১৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ ১০.৯৯ লক্ষ চালান এবং ৮৫,৯৪ লক্ষ নোটিস জারি করেছিল। এরপর ২০২১ সালে জারি করা হয়েছিল ১৩.২৩ লক্ষ চালান এবং ৬৬.০৩ লক্ষ নোটিস। ফলে মোট সংগ্রহ হয়েছিল ৯৮.৪৫ কোটি টাকা। এদিকে ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল মোট ৭৪.৪৬ কোটি টাকা। ওই বছর জারি করা হয়েছিল ১৪.৬৯ লক্ষ চালান এবং ৫৯.৮৭ লক্ষ নোটিস। ২০২৩ সালে ১৭.২৬ লক্ষ চালান এবং ৫৬.৫৩ লক্ষ নোটিসের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ৪০.৩১ কোটি টাকা। আর ২০২৪ সালে সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬.২৯ কোটি টাকা।
advertisement
ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার কারণ:
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকভায় বলেন যে, শহরে ট্র্যাফিক লঙ্ঘনের পিছনে থাকা প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল – দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং দিল্লি পুলিশের প্রণয়ন করা কঠোর নিয়ম। জন সাধারণের মধ্যে সঠিক ড্রাইভিং এবং রোড সেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ। এই সচেতনতা অভিযানের মধ্যে অন্যতম হল- স্কুল-কলেজ কিংবা পাবলিক প্লেসে পথ সুরক্ষা অভিযান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে ও পথ সুরক্ষার জন্য গাড়ির চালক ও ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
যেটার ভয় ছিল, ঠিক সেটাই ঘটল দিল্লিবাসীদের সঙ্গে; লক্ষ লক্ষ মানুষকে দিতে হচ্ছে মাসুল, প্রায় ৪৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি সাধারণ মানুষের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement