প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও হেরে গেলেন। হারতে হয়েছে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকেও। কিন্তু রাজধানীতে কেন এমন ভরাডুবি আপ এবং কংগ্রেসের?
নয়াদিল্লি: দিল্লির বিধানসভা ভোটের গণনা প্রায় শেষের পথে। ২০২৫-এর নির্বাচনে ভোটাররা কাকে ক্ষমতা দিয়েছেন তা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে। তবে, এখনও পর্যন্ত ফলাফলের ট্রেন্ড থেকে মোটামুটিভাবে স্পষ্ট যে, ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি।
এখনও পর্যন্ত ফলাফল ৪২টিরও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ২২ আসনে এগিয়ে আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসে শূন্য। ২০২৫-এ জিতলে হ্যাটট্রিকের পথে যেতে পারত আপ। কিন্তু জেতা দূর অস্ত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও হেরে গেলেন। হারতে হয়েছে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকেও। কিন্তু রাজধানীতে কেন এমন ভরাডুবি আপ এবং কংগ্রেসের?
‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সম্পর্কের ফাটলই কি দিল্লিতে বিজেপির পথ প্রশস্ত করে দিল? রাজনৈতিক মহলে উঠে আসছে একাধিক কারণ। তবে ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের একযোগে না লড়ার ফলেই যে দিল্লিতে ফের উজ্জ্বল গেরুয়া শিবির, তা নিজের ট্যুইটে একরকম স্পষ্ট করেছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক তথা জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। খানিক খোঁচা দিয়েই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর পোস্ট,‘‘আরও নিজেদের মধ্যে লড়াই কর।’’
ভোটের ফলাফলেও খানিকটা পাওয়া গিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ভাঙনের পরিচয়। দিল্লির ভোটে কংগ্রেসের ভাঁড়ার এখনও পর্যন্ত শূণ্য। কিন্তু জিততে না পারলেও কংগ্রেসের কারণে একাংশ ভোট কেটে গিয়ে হার হয়েছে একাধিক আপ নেতার। নয়াদিল্লি আসনে বিজেপির প্রবেশ সাহিব সিংহের কাছে হারতে হয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। কেজরী হেরেছেন ৪,০৮৯ ভোটে। ওই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিতকে। তিনি পেয়েছেন ৪,২৫৪ ভোট।
advertisement
যদিও ইন্ডিয়া জোটের আর এক শরিক অখিলেশ যাদব অবশ্য ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন, ‘‘বিজেপি ভোটের জোরে পিডিএ-র ক্রমবর্ধমান শক্তিকে মোকাবেলা করতে পারে না, তাই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থার অপব্যবহার করে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করে।’’
पीडीए की बढ़ती शक्ति का सामना भाजपा वोट के बल पर नहीं कर सकती है, इसीलिए वो चुनावी तंत्र का दुरुपयोग करके जीतने की कोशिश करती है।
ऐसी चुनावी धांधली करने के लिए जिस स्तर पर अधिकारियों की हेराफेरी करनी होती है, वो 1 विधानसभा में तो भले किसी तरह संभव है, लेकिन 403 विधानसभाओं में…
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ জয়ের পথে বিজেপি যাওয়ার পর লেখেন, ‘‘দিল্লির মানুষ মিথ্যা, প্রতারণা ও দুর্নীতির ‘শীষ মহল’ ধ্বংস করে দিল্লিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কাজ করেছে। দিল্লি তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীদের এমন একটি পাঠ শিখিয়েছে, যা সারা দেশে জনসাধারণের কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে। এটি দিল্লিতে উন্নয়ন ও আত্মবিশ্বাসের নতুন যুগের সূচনা।’’